ফিরে এলো চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের ডার্বি https://ift.tt/dkCbFe2 - MAS News bengali

ফিরে এলো চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের ডার্বি https://ift.tt/dkCbFe2

বাতাসে বারুদের গন্ধ!না, দেশে কোনও যুদ্ধ-টুদ্ধ লাগেনি। এ যুদ্ধ বাঙালির চিরকালীন আবেগের।মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে নাম লেখানোর পরে যে ৬ বার হয়েছে, তাতে একচেটিয়া আধিপত্য সবুজ মেরুনই। শনিবার যুবভারতীতে চলতি মরসুমের আইএসএলের যে প্রথম ডার্বি হতে চলেছে তাতে কিন্তু মাঠের বাইরে লাল হলুদের সমান দাপট। মাঠের মধ্যে কী হবে, সেটা বলবে শনি-সন্ধে। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে যুবভারতীর প্রেস মিটে আর প্র্যাক্টিসের ঝলকে সেই বারুদের গন্ধ। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতই বলুন কিংবা মোহনবাগান ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসুর গলায় চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় ফুটবলে কর্পোরেট ছোঁয়া লাগার পরে তো প্রেস মিট মানেই সব প্রশ্নে গতানুগতিক জবাব। যা দিয়ে বড় ম্যাচের হাওয়া গরম হত না। এ দিন স্প্যানিশ কোচ কুয়াদ্রাত বলে গেলেন, 'ডার্বিতে আমরা যেমন ফেভারিট নই, তেমনই মোহনবাগানও ফেভারিট নয়।' তাঁকে নন্দ কুমারকে আটকাতে হবে। পারবেন তো? এমন প্রশ্নে শুভাশিসের ঝাঁঝালো জবাব, 'ডুরান্ড ফাইনালে আমরাই জিতেছিলাম। নন্দ কি গোল করতে পেরেছিল?'দুই টিমের প্র্যাক্টিসেও যুদ্ধং দেহি মেজাজের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও চুঁইয়ে পড়ছিল। সকালে যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে মোহনবাগানের প্র্যাক্টিসে ধরা পড়েছিল টিমের বোঝাপড়া বাড়ানোর প্রয়াস। আর বিকেলে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাক্টিসে দেখা গেল ব্যক্তিগত দক্ষতায় শান দেওয়ার মরিয়া মেজাজ। দুই স্টিকের হার্ডল টপকে মিনিয়েচার সাইজের গোলপোস্টে বাঁ পায়ে বল ঠেলেই ডার্বিতে গোল করার সেলিব্রেশনের মহড়া যেন সেরে রাখলেন হিজাজি মাহের।পাঁচ দিন আগেই ভুবনেশ্বরে সুপার কাপ জেতা। সেখানেই মোহনবাগানকে হারানো বা টানা দশ ম্যাচে না হারার যে মোমেন্টাম কুয়াদ্রাতের টিমের তৈরি হয়েছে, তাতেই উজ্জ্বল ইস্টবেঙ্গল। আর আইএসএলে টানা তিন ম্যাচে হার। সুপার কাপের ডার্বিতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও মোহনবাগান শিবির তেতে শনিবার পুরো শক্তিতে খেলতে পারার জন্য। সঙ্গে রয়েছে নতুন কোচ আন্তনিও আবাসের মিডাস টাচ।মাদ্রিদের বাসিন্দা কুয়াদ্রাত কী করতে পারেন, সেটা তাঁর ৬ মাসের কোচিংয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন। বারো বছর পরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবে প্রথম ট্রফি এনে দিয়েছেন। ডুরান্ডের মতো সুপার কাপের গ্রুপ লিগেও মোহনবাগানকে হারিয়েছেন। ডার্বিতে তাই বেশি নজরে থাকবে বার্সেলোনার বাসিন্দা আবাস কী করতে পারেন সেই দিকে। আবাস এর আগে সবুজ মেরুনে যখন কোচ ছিলেন, তখন এটিকে মোহনবাগান কোনও ডার্বিতে হারেননি। শনিবার তিনি প্রথম নামবেন মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের হয়ে। আবাস বলছিলেন, 'আমি হারতে ঘৃণা করি। সুপার কাপে কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবতেও চাই না। আমার কোন চাপ নেই।'কুয়াদ্রাতের ফুটবল দর্শনে যেমন রয়েছে উইং প্লে-র প্রাধান্য। রয়েছে ক্রমাগত অ্যাটাকের ঢেউ তোলা। তেমনই আবাসের দর্শন হলো ডিফেন্সকে মজবুত রেখে ২৫-৩০ মিনিট প্রতিপক্ষকে মেপে অ্যাটাক করা। ফুটবল পান্ডিত্যের জন্য আবাস ম্যাচের মাঝেই তাঁর স্ট্র্যাটেজি বদলাতে পারেন। ২০২১ সালে ডিসেম্বরে তিনি যখন মোহনবাগান ছেড়েছিলেন, সেই টিমের সঙ্গে দু'বছর পরে দায়িত্ব নেওয়া এই টিমের পার্থক্য কী? আবাসের জবাব, 'এবার আমার টিমে প্রচুর ভারতীয় ফুটবলার রয়েছে। তার জন্যই সাত জন ভারতীয় টিমে সুযোগ পেয়েছিল। যা আমার কাছে পজিটিভ দিক।' গোষ্ঠ পাল সরণির টিমের আইএসএলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কারণ চোটের জন্য ডিফেন্সের মূল স্তম্ভ আনোয়ারের চোট লেগে টিমের বাইরে চলে যাওয়া। সেই আনোয়ার একশো ভাগ ফিট। ক্লেইটন সিলভাদের আটকানোর জন্য তিনি তৈরি। সঙ্গে পুরো ফিট অ্যাটাকের অস্ত্র সাহল আব্দুল সামাদও।মোহনবাগানে যখন শক্তি বেড়েছে, আবাসের হাতে বিদেশি বদলের অপশন, তখন ইস্টবেঙ্গলে শক্তি একটু হলেও কমেছে। কার্ডের জন্য মিডফিল্ড জেনারেল সৌভিক চক্রবর্তী নেই। চার বিদেশি নিয়ে খেলার ম্যাচে কুয়াদ্রাতের হাতে চার বিদেশিই রয়েছে। কুয়াদ্রাতের কথায় অবশ্য মনেই হল না, তাঁর কোনও সমস্যা আছে। তাঁর জবাব, 'যারা টিমে আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি। তাই ডার্বিতে তিন পয়েন্ট পাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।'কুয়াদ্রাতের হুঙ্কারে যেন, বাতাসে বারুদের গন্ধ!


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/rGIHsQh
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads