ভাড়া বাড়ান, না হলে ফুটুন! ভোগান্তির নাম অ্যাপ-বাইক https://ift.tt/jvJ29DC - MAS News bengali

ভাড়া বাড়ান, না হলে ফুটুন! ভোগান্তির নাম অ্যাপ-বাইক https://ift.tt/jvJ29DC

এই সময়: প্রশ্নের ধরনে চমকেই গিয়েছিলেন কেষ্টপুরের মানিক সরকার! বুকিংয়ের পরে প্রশ্ন আসাটা কার্যত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাপ-ক্যাবের ক্ষেত্রে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন মূলত দু'টি- 'কোথায় যাবেন, আর পেমেন্ট কীসে হবে ক্যাশ না অনলাইন?'কিন্তু অ্যাপ-বাইকের গল্প অন্য। বুকিং আসার পরে তাঁদের প্রথম কথা, ওই টাকায় অত দূর যাওয়া যাবে না। ভাড়াটা একটু বাড়িয়ে দেবেন কি? ব্যস। আলোচনা সন্তোষজনক না হলেই বুকিং ক্যানসেল। তাড়াহুড়োয় অনেকে বেশি ভাড়াতেই রাজি হয়ে যান। তাই বলে ধমকের সুরে প্রশ্ন আসবে?কেষ্টপুরের মানিক বলছেন, 'আমাকে কার্যত ধমকে বাইক চালক প্রশ্ন করলেন, আপনি ১৩০ টাকায় হাওড়া স্টেশন বুক করেছেন কেন? আমি তো থ! আমি যথাসম্ভব ভদ্র ভাবে বললাম ভাই, ভাড়াটা আমি ঠিক করিনি। অ্যাপে ওই ভাড়াই দেখাচ্ছিল। আমি বুক করেছি। কিন্তু আপনি বুকিং নিলেন কেন? তার উত্তর- সে নিয়েছি ঠিকই। তবে আড়াইশোর কমে যেতে পারব না। আপনি যাবেন?' সেই বুকিং ক্যানসেল করে দেন ওই যুবক। তার পরে অন্তত ছ'জন বাইক চালক ভাড়া বাড়ানোর দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত এসি বাসে করে হাওড়া স্টেশনে যান মানিক। সময় কিছুটা বেশি লাগে ঠিকই। কিন্তু তাঁর সেদিনের অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর।একই কথা বলছেন বেহালার সুরমা সেনগুপ্তও। তিনি বলেন, 'প্রথম দিকে এমনটা ছিল না। কেউ কেউ ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করতেন। এখন আর অনুরোধের ধার ধারেন না তাঁরা। সরাসরি বুক বাজিয়ে অনেক বেশি টাকা দাবি করেন। রাজি না হলে বুকিং ক্যানসেল করে দেন। আগে এক জন না গেলে অন্য কেউ যেতেন। এখন বিষয়টা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।' তাঁর মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ করে কোনও লাভ হচ্ছে না। ফলে প্রশাসনের তরফ থেকে পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করছেন যাত্রীরা।এক সময়ে কার্যত কলকাতার অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে অনেকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল অ্যাপ-বাইক। অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া অনেকের সাধ্যের বাইরে। ফলে তাঁদের কাছে এই বাইকগুলিই ছিল যাতায়াতের ভালো মাধ্যম। বাস তো বটেই, অ্যাপ ক্যাবের থেকে দ্রুত এবং কম খরচে যাতায়াত করা যায় ফলে অতি অল্প সময়েই তা জনপ্রিয় হয়ে যায়। প্রথমে একটি সংস্থা এই সুবিধে আনলেও পরে সব অ্যাপক্যাবগুলিই বাইক সার্ভিস চালু করে। ইএম বাইপাসের আবাসন থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে নিয়মিত যান রুবি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'দিন দিন এত বাজে অভিজ্ঞতা হচ্ছে যে, এখন আর বাইকে যেতে পারি না। কেউ কেউ ভালো নিশ্চয়ই আসেন। কিন্তু বেশিরভাগেরই ব্যবহার খারাপ।'যে পদ্ধতিতে ভাড়া বাড়াচ্ছেন বাইক চালকেরা, তাকে অনেকেই বলছেন জুলুমবাজি। তবে শুধু ভাড়ার জুলুমই নয়, বাইক নিয়ে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ আরোহীর বক্তব্য, 'যে হেলমেট তাঁরা দেন, তাতে কোনওভাবে মাথা বাঁচার কথা নয়। নিছক নিয়মরক্ষার জন্যই হেলমেটটি দেওয়া হয়। তার ভিতরে না থাকে কোনও কুশন, না থাকে স্ট্র্যাপ। কোনও রকমে এক হাতে হেলমেট, অন্য হাতে বাইক ধরে বসে থাকতে হয়। কিছু বললে বলে, বুকিং ক্যানসেল করে দেন।' ধীরে বাইক চালাতে বললেও জোটে বাজে ব্যবহার।কী বলছেন বাইকাররা?তাঁদের যুক্তি, অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে সংস্থা থেকে টাকা মেলে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর। সার্ভিস চার্জ কেটেই টাকা দেওয়া হয়। অথচ নগদের প্রয়োজন থাকে। অনেকের কাছে টাকা না থাকায় তেল ভরতে সমস্যা হয়। তবে হেলমেট যে সব সময়ে উন্নত মানের থাকে না, সেটা একান্তে অনেকেই মানছেন।


from Bangla News, বাংলা খবর, Bengali News, বাংলা সংবাদ, Bengali Breaking News, Latest Bengali News, বাংলা নিউজ https://ift.tt/K7GpBW6
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads