Fashion Trends and Tips in Bangla
Health Tips
Lifestyle News in Bengali
লাইফস্টাইল খবর
from Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla https://ift.tt/3jmu8SZ
উৎসবের আনন্দেও করোনা-সতর্কতা! কী করণীয়? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক https://ift.tt/2ThZf7z

করোনাকালে বদলে গিয়েছে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ। বদলে গিয়েছে দৈনিক রোজনামচা। তবুও সংক্রমণের আশঙ্কা এতটুকুও কমছে না। ইতোমধ্যে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় ভিড় করছে মানুষ, অনেকেরই মাস্ক নেই। সবাই যেন কনফিডেন্ট, 'আমার করোনা হবে না'। লকডাউন ওঠার পর থেকেই সবর্ত্রই যেন একটা গাছাড়া ভাব। অথচ করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ভয় সঙ্গী করেও শহরবাসীকে নিউ নরমালে পুজো কেমন করে কাটানো উচিৎ তারই পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। তরফে সাক্ষাৎকার নিলেন শ্রাবণী অধিকারী। এই সময় ডিজিটাল: পুজো শুরু। করোনা ভুলে বেপরোয়া ভিড়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কীভাবে সাবধান থাকতে হবে আমাদের? ড. বিশ্বাস: করোনা আবহে পুজো। মন মানছে না। কিন্তু কিছু করার নেই। এত দিন গৃহবন্দি ছিল সকলে। এখন বন্ধনমুক্ত মনোভাব এসে গিয়েছে। আর এই বন্ধনমুক্ত মনোভাবের ফলে সেচতনহীনতা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে বিপদ বাড়ছে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরও বেশি করে। আমরা এখন সংক্রমণ সমুদ্রের পৃষ্ঠতলে আছি। এই মুহুর্তে সচেতন না হলে সমুদ্রের গভীরতলে পৌঁছে যাব। শপিং থেকে ঠাকুর দেখার হিড়িকে সংক্রমণ নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালেও ভিড় উপচে পড়তে পারে। কোথায় এত লোকের ঠাঁই হবে? এ ক্ষেত্রে আদালতের রায়কে আমি স্বাগত জানাব। আমাদের রাজ্যে এখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। মানুষকে পরীক্ষার জন্য আগ্রহ বাড়াতে হবে। যেখানে বেশি লোকের সমাগম রয়েছে, সেখানে না যাওয়াই শ্রেয়। নিতান্ত যদি প্রয়োজন হয় মাস্ক পরে অবশ্যই বেরোন। সঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অবশ্যই যেন করা হয় বা ভালো অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করুন। বাইরে বেরতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নিয়ে বেরতেই হবে, কারণ বাইরের জল কোনও ভাবেই খাওয়া যাবে না। অজানা বা অচেনা জায়গায় খাবার খাওয়া কখোনই উচিত নয়। এই সময় ডিজিটাল: মাস্ক, গ্লাভস ও হেড-ক্যাপ পরে পুজোর শপিং করতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাঁদের ধারণা সংক্রমণ ছুঁতে পারবেন না। এটা নিয়ে আপনি কী বলবেন? ড. বিশ্বাস: যদি সে সঠিকভাবে মাস্ক পড়ে বা ঘন ঘন নিজেকে সুদ্ধিকরণ করতে পারেন তাহলে কোনও ভয় নেই। কিন্তু, অনেকেই আছেন যারা ভিড়ের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলে মাস্কটা সঠিক জায়গায় না রেখে থুতনিতে নামিয়ে রাখেন। এটি করা হলে ভীষণ বিপদ। কারোর যদি টানা মাস্ক পরে থাকার ফলে কষ্ট হয়। ফাঁকা জায়াগায় এসে কিছুক্ষণ দম নিয়ে নিন। এর পর আবার মাস্কটি পরে নিন। তবে, জনবহুল জায়গায় না যাওয়াই শ্রেয়। এই সময় ডিজিটাল: এখন অনেকেই করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। পুজোর সময় তাঁরা কী কী খেয়াল রাখবেন? ড. বিশ্বাস: যাঁরা সেরে উঠেছেন তাঁরা এখনই কারোর সঙ্গে মেলামেশা করবেন না। বিপদ থেকে দূরে থাকুন। শরীরে অ্যান্টিজেন রয়েছে বলে কিছু হবে না, এটি সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। বরং অন্য সংক্রমণ হতে পারে। জনবহুল জায়গা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সময় ডিজিটাল: ফেস শিল্ড না মাস্ক, কোনটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত? ড. বিশ্বাস: দুটোই পরা যেতে পারে কোনও অসুবিধা নেই। যারা মাস্ক পরতে পারেন না তাঁরা ফেস শিল্ড ব্যবহার করেন। আবার অনেকে মাস্ক পরতে পছন্দ করেন। কেউ আবার ফেস শিল্ড ও মাস্ক দুটোই ব্যবহার করেন। এই সময় ডিজিটাল: ভাইরাসে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। তাই বয়স্কদের সতর্কতা নিয়ে পরিবারকে কতটা সচেতন থাকতে হবে? প্রতিরোধের উপায়ই বা কী? বাড়িতে কী কী নিয়ম মেনে চললে বাচ্চাদের সুস্থ রাখা যাবে? ড. বিশ্বাস: পুজোর সময় প্রবীণরা বাড়ির মধ্যেই থাকুন। বাইরে বেরনোর কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁরা যদি ওষুধ সেবন করেন। সেগুলো নিয়ম করে নিন। সমস্যা হলে বাড়ি থেকে ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শিশুদের একইভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। যে কোনও সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় পরিচ্ছন্নতা। খাবার আগে অবশ্যই হাতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এই সময় ডিজিটাল: করোনার প্রথম রিপোর্টে পজিটিভ আসার পর কেউ যদি হোম কোয়ারানটিনে থাকেন। তবে দ্বিতীয় রিপোর্টে নেগেটিভ আসলেই কি তিনি সুস্থ? এক্ষেত্রে একটি ধারণা রয়েছে যে উপসর্গ না থাকলে দ্বিতীয়বার টেস্টের প্রয়োজনীয়তা নেই। সঠিক কোনটি? ড. বিশ্বাস: কেউ একবার সেরে ওঠার পর কোনও রকম অসতর্কতায় বা দুর্বল শরীরের কারণে ফের করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি সেরে ওঠার পরও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। এই সময় ডিজিটাল: প্রথম রিপোর্টে পজিটিভ আসার পর হোম কোয়ারানটিনের সময় শেষে দ্বিতীয় রিপোর্টে যদি কেউ নেগেটিভ আসেন। তিনি কি তৎক্ষণাৎ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন? নাকি আরও ৭ দিন সময় নিজেকে কোয়ারানটিন করে বাইরে বের হওয়া উচিত। ড. বিশ্বাস: হ্যাঁ, প্রথম রিপোর্টে পজিটিভ আসার পর হোম কোয়ারানটিনের সময় শেষে দ্বিতীয় রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া একেবারেই উচিৎ নয়। আরও কিছুদিন নিজেকে কোয়ারানটিনে রাখতে হবে। এই সময় ডিজিটাল: আনলক পর্বে অনেক অফিস খুলে গেছে। যাঁদের কর্মস্থলে যেতে হয় তাঁরা নিজেদের কীভাবে যত্ন নেবেন? ড. বিশ্বাস: এ ক্ষেত্রে মাস্ক অবশ্যই পরে থাকতে হবে। ঘন ঘন সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। শুধু তাই নয়, অফিসের মধ্যেও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। অফিসের মধ্যে ফেস শিল্ড বা মাস্ক পরতে হবে। অফিসও যেন বারবার স্যানিটাইজ করা হয়। অফিসের মধ্যে থেকেও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। এই সময় ডিজিটাল: শোনা যাচ্ছে আসছে শীতে সংক্রমণের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে, সে ক্ষেত্রে কতটা সতর্ক থাকতে হবে? ড. বিশ্বাস: হ্যাঁ, শীতকালে আরও বাড়বে ভাইরাসের প্রকোপ। শীতে তামমাত্রা কম থাকা আর আর্দ্রতা বেশি থাকা এলাকায় মানুষের কথা বলা, হাঁচি, কাশি থেকে করোনাভাইরাসের জীবাণু হাওয়ার সঙ্গে অনেকটাই দূরে যেতে পারে। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জার সাধারণ লক্ষণ। তাই শীতকালে মাস্কের ব্যবহার করার পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলা বা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। শীতকালে আমদের জল খাওয়াটাও কম হয়। শুধু করোনা নয় যে কোনও ভাইরাস মকোবিলায় আমাদের খেয়ালা রাখতে হবে যে, সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া যেন হয়। এতে পেটের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। এই সময় ডিজিটাল: এখনকার পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন কাজ নিঃসন্দেহে হাসপাতালে যাওয়া। আশপাশে কে করোনা আক্রান্ত হয়েছে তা বোঝার উপায় নেই। জরুরি প্রয়োজনে যদি হাসপাতালে যেতে হয় তাহলে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখতে হবে? ড. বিশ্বাস: মাত্র কয়েকদিন আগেই হাত ধোয়া দিবস পালন করেছি আমরা। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা অনেক বেশি কার্যকরী। নেহাত যেখানে সাবান ও জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, কেবলমাত্র সেখানেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। জনবহুল জায়গা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। তা হলেই ঠেকানে যাবে করোনার সংক্রমণ। এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে।
from Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla https://ift.tt/3jmu8SZ
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment