২০২৬ সালে হাসপাতালে থাকবেন না কোনও ইন্টার্ন! NEET নিয়ে ধোঁয়াশায় আতঙ্ক চিকিৎসকদের https://ift.tt/3iqstyI - MAS News bengali

২০২৬ সালে হাসপাতালে থাকবেন না কোনও ইন্টার্ন! NEET নিয়ে ধোঁয়াশায় আতঙ্ক চিকিৎসকদের https://ift.tt/3iqstyI

অনির্বাণ ঘোষ CBSE দ্বাদশের পরীক্ষা আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বাতিল হয়ে গেল উচ্চ মাধ্যমিকও। এদিকে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ঘিরেও প্রবল অনিশ্চয়তা। উদ্বেগে ডাক্তারি পড়তে চাওয়া পড়ুয়ারা। NEET প্রত্যাশীদের আরও টেনশনের কারণ, পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা তো দূরের কথা, এখনও আবেদনের সময়ই জানানো হয়নি। NEET নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসক মহলও। কেননা, কোনও কারণে এ বছর NEET পরীক্ষা না-হওয়ার অর্থ, ২০২৬ সালে দেশের কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনও ইন্টার্ন থাকবেন না। রাজ্যের এক প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা বলেন, 'এ বছর NEET না-হলে, ২০২৫-এর পর ২০২৭-এ বেরোবে পাস-আউট ইন্টার্ন ব্যাচ। ২০২৬ সালে তো এর জেরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে রোগী পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ষোলো আনা।' তাই NEET প্রত্যাশীদের অভিভাবকদের সংগঠন 'টার্গেট MBBS ফোরাম'-এর তরফে পরীক্ষার পক্ষে দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন রঞ্জন রায়। সাধারণত মে মাসের প্রথম রবিবার প্রতি বছর NEET অনুষ্ঠিত হয়। দেশের প্রায় ১৬ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা থেকে প্রায় ৭৯ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষা দেন। প্রবেশিকার আবেদনপত্র পূরণ করা হয় সাধারণত তার আগের বছর ডিসেম্বর থেকে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরেও তা-ই হয়েছিল। কিন্তু গত বছর মে মাসে পরীক্ষা হয়নি। তিন বার পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩ সেপ্টেম্বর NEET হয় দেশজুড়ে। কিন্তু ২০২১ সালের NEET-র জন্য ফর্ম পূরণের আহ্বানই এখনও জানায়নি NEET পরিচালনাকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। প্রথমে ১ অগস্টে NEET হওয়ার কথা থাকলেও পরে NTA জানিয়েছে, অগাস্টের মাঝমাঝি ফর্ম পূরণের ব্যাপারে জানানো হবে। সেপ্টেম্বরের আগে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই NEET প্রত্যাশীদের টেনশনের পারা ঊর্ধ্বমুখী। এঁদেরই অন্যতম নদিয়ার নীলাঞ্জন বিষ্ণুর কথায়, 'এখনও তো ফর্ম পূরণের ব্যাপারেই কিছু খোলসা করা হচ্ছে না! পরীক্ষা হবে কি না, সেটাই তো বুঝছি না। না-হলে আগে থেকে জানিয়ে দিলেই পারত। প্রস্তুতি নিয়ে ফেলার পর এখন আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।' একই সুর পশ্চিম মেদিনীপুরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুশান্ত প্রামাণিকের গলায়। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যখন বলেইছেন, আগে জীবন, তা হলে NEET বন্ধ করে দিয়ে রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স চালু করে দেওয়া হচ্ছে না কেন? রাজ্যের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামো অনেক ভালো এবং করোনাকালে তা স্বাস্থ্যকরও।' হাওড়ার NEET প্রত্যাশী সাদ্দাম মির্জারও বক্তব্য, 'প্রতি বছর আর NEET নিয়ে এই অনিশ্চয়তা ভালো লাগছে না। এর চেয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ঢের ভালো।' অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য চাইছেন, যে ভাবে হোক, NEET পরীক্ষাটা অন্তত হোক। অন্যথায় তাঁদের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা, দুটোই জলে যাবে। যদিও ছাত্রছাত্রীদের আর একটা অংশ চাইছে, পরীক্ষার দরকার নেই। উচ্চ মাধ্যমিকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হোক এমবিবিএস, বিডিএস পাঠ্যক্রমে। NEET-র প্রস্তুতির জন্য জীববিজ্ঞান পড়ান, এমন এক শিক্ষিকা রুবাই ভট্টাচার্য বলেন, 'যারা গড়পরতা পড়ুয়া, তাদের সমস্যা নেই। কিন্তু যে ১০-১৫% অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীর লক্ষ্য অনেক বড় মাপের, এই পরিস্থিতিতে তাদের হতাশা গ্রাস করছে।' NEET-র প্রস্তুতি করান, এমন আর এক শিক্ষক তথা চিকিৎসক অমিয় মাইতি বরাবরের মতো NEET তুলে দেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, 'পুরোনো রাজ্যভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার পরিকাঠামো ছিল একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত। NTA-র সেই পরিকাঠামো নেই। ফলে এই করোনা পরিস্থিতিতে তারা পিছিয়ে আসছে পরীক্ষা নিয়ে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য চায়, উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ণের ভিত্তিতে তারা নিজেরাই যেন রাজ্যস্তরে ছাত্রভর্তি করে নিতে পারে। বাংলাও সরকারি ভাবে এমন নীতিরই পক্ষে বলে শুনেছি। কেন্দ্রের বিষয়টি ভাবা দরকার।' স্বাস্থ্যভবনের স্বাস্থ্য-শিক্ষা শাখার তরফে অবশ্য এখনই এ নিয়ে প্রকাশ্যে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না কোনও কর্তা।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3zaEgqX
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads