লুট হওয়া অস্ত্রই মণিপুরে মাথাব্যথা, চাপ সংসদেও https://ift.tt/yNj5ga4 - MAS News bengali

লুট হওয়া অস্ত্রই মণিপুরে মাথাব্যথা, চাপ সংসদেও https://ift.tt/yNj5ga4

এই সময়: একদিকে মণিপুর নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জোরদার হচ্ছে, অন্যদিকে পুলিশ-প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে লুট হয়ে যাওয়া বহু অস্ত্র, যা এখনও উদ্ধার না-হওয়া। মণিপুরে অশান্তি শুরুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। পুলিশি অস্ত্রাগার এবং থানা থেকে লুট হয়েছে অন্তত ৪,৫০০ অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, তার মধ্যে উদ্ধার করা গিয়েছে মাত্র ১,১৯৫টি! সম্প্রতি কাঙ্গভাই, মোরেহতে নতুন করে যে অশান্তি ছড়িয়েছে, ঘরবাড়ি জ্বালানো হয়েছে- তাতে এই লুট যাওয়া অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর। হাসপাতালের তথ্যও বলছে, আহতের অধিকাংশেরই বুলেটের ক্ষত। দেশি বন্দুকের নয়। এদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখে পুলিশ। সূত্রের খবর, থানার মধ্যেও এখন কুকি এবং মেইতেই পুলিশের বিভাজন হয়ে গিয়েছে। কোনও গ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র মজুতের খবর পেয়ে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা হলেই পুলিশের মধ্যে থেকে খবর চলে যাচ্ছে গ্রামে। ফলে অভিযানে গিয়ে হয় গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাহিনীকে, নয়তো খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। প্রতিটি থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেন একজনকেও গ্রেপ্তার করা গেল না, উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, বৃহস্পতিবার চূড়াচাঁদপুরের বুলজাং গ্রামে কুকি সম্প্রদায়ের নিহত ৩০-৩৫ জনের গণকবর দেওয়া হবে। সেখানে নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, মণিপুর প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদের ভিতরে-বাইরে কোণঠাসা করতে একগুচ্ছ রণকৌশল নিয়েছে বিরোধী শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি জোরালো করতে বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী 'ইন্ডিয়া'র প্রতিনিধি সাংসদরা। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের আর্জি, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি নিশ্চিত করুন রাষ্ট্রপতি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবও। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর আর্জি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মণিপুরের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর দু'জন প্রতিনিধিকে রাজ্যসভার দু'টি শূন্য আসনে মনোনয়নের জন্য যেন উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি। সুস্মিতার দাবি, এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে জাতিদাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুরের মানুষের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগানো সম্ভব হবে৷ বিরোধীদের এই কৌশলের পাল্টা সংসদে বাংলার নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হতে পারে বিজেপি। সংসদীয় সূত্রের দাবি, আগামী সপ্তাহে লোকসভায় অনাস্থা ইস্যুতে ১৭ ঘণ্টা বিতর্ক হবে৷ সেখানে বিজেপির হেভিওয়েট সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হবেন, যার নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের৷ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিজেপি নেতা শান্তা কুমার এদিন মণিপুর নিয়ে মোদী সরকারকে গঠনমূলক পদক্ষেপের অনুরোধ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের কারণে ধর্মযুদ্ধ হয়েছিল। আর এখানে রোজ দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হচ্ছে, সকলে নীরব দর্শক। এতদিনেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত হিংসা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। সেটা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেই হোক বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে।'


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/oWRI2HO
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads