Bengali News
Bengali News Today - Ei Samay
Live Bangla News
News in Bangla
আজকের বাংলা খবর
বাংলা সংবাদ
from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/IoWiHwl
উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানেই সুইসাইড প্রায় ১০০! https://ift.tt/4ZnlepG
এই সময়, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথম সারির কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার হার। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী এবং বাম সাংসদ ভি শিবদাসনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মেন্দ্র প্রধানের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, আইআইটি, বা আইআইএম-সহ নানা ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর বাইরে বিভিন্ন এইমস-এ অন্তত আরও ১৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এই সময়কালে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-এর প্রথম ছ'মাসেই আত্মঘাতী হয়েছেন ২০ জন পড়ুয়া। ২০২২ সালে যে সংখ্যাটা ছিল ২৪, ২০২১ এবং ২০২০-তে ৭ জন করে। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানেই আত্মহত্যার পরিমাণ যদি এই হয়, তা হলে হিসেবে না থাকা শয়ে-শয়ে রাজ্য সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছবিটা কেমন? শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক আত্মহত্যা হয়েছে আইআইটি-র ক্যাম্পাসগুলিতে। ক্রমশ বেড়ে ওঠা সুইসাইডের প্রবণতা নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, কোভিডের সময়ে এবং পরবর্তীতে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য ইউজিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, খেলাধূলা, স্বাস্থ্যের বিষয়টি খেয়াল রেখে নির্দেশিকাও জারি করেছে ইউজিসি। তাঁর আরও দাবি, শিক্ষাগত চাপ কমানোর জন্য পিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট লার্নিং, আঞ্চলিক ভাষায় কারিগরি শিক্ষা প্রবর্তনের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে মন্ত্রক।কিন্তু এত ব্যবস্থা নিয়েও কেন ঠেকানো যাচ্ছে না আত্মহত্যা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোড়াতেই গলদ থেকে যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির সুইসাইড প্রিভেনশন শাখার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সুজিত সরখেল। তাঁর বক্তব্য, 'কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা অনেক প্রতিষ্ঠানই করেছে। কিন্তু তার পরেও অনেক পড়ুয়া নানা ধরনের ছুৎমার্গের কারণে সেই পরিষেবা নিতে এগোচ্ছেন না।' আবার একই সঙ্গে তিনি বলছেন, 'শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কাউন্সেলিং, ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করলেই হবে না। সেখানকার তথ্য গোপন রাখা, প্রয়োজনে মুখোমুখি কেউ কথা বলতে অসুবিধে বোধ করলে নাম-পরিচয় গোপন রেখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা করার সুযোগ বাড়াতে হবে।' আইসার কলকাতার অধ্যাপক অনিন্দিতা ভদ্রর সংযোজন, 'গত দু'বছরে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার নেপথ্যে করোনার সময়কেই মূলত দায়ী করা যায়। ঘরবন্দি সময়ের যে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষায় পা রেখেছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতির নানা লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।' এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের কথায়, 'সরকারের গালভরা পদক্ষেপগুলির সিংহভাগই ফেল করেছে। ক্যাম্পাসে চাপ, বৈষম্য ও হেনস্থামুক্ত পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে আমরা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি।' প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন আইসির বরিষণ রায়ের বক্তব্য, 'নানা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে। সেই অভাব ছাত্র, শিক্ষক, কর্তৃপক্ষ - সব দিক থেকেই আছে। কী ভাবে এই সমস্যার সঙ্গে ডিল করতে হয়, তা অনেকেরই জানা নেই।'আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা এনআইটি দুর্গাপুরের প্রাক্তন ডিরেক্টর অনুপম বসু জানান, ২০১৭-২০২২, তাঁর কার্যকালের মধ্যে এনআইটি দুর্গাপুরে একটিও আত্মহত্যা হয়নি। তবে সামগ্রিক ভাবে তাঁর ব্যাখ্যা, 'একদিকে পারিবারিক, সামাজিক চাপ ও প্রত্যাশা এবং অন্যদিকে পড়াশোনার প্রেশার একই সঙ্গে সামলে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না অনেক পড়ুয়ার পক্ষে। তা ছাড়া আইআইটি, এনআইটি সিস্টেমের প্রবল চাপের মুখে ছাত্রছাত্রীরা ঠিক করে একে অন্যের বন্ধুও হয়ে উঠতে পারছে না।' বন্ধুর অভাবে একাকী জীবনে আত্মহত্যাকেই অনেকে সুরাহা বলে মনে করছেন। আইআইটি খড়্গপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের এক ছাত্রের কথায়, 'পড়াশোনার চাপ আছে। অনেকে দুর্ব্যবহারও করে। হেল্পলেস লাগে অনেক সময়ে। তখন কাউকে নিজের মনের কথা বলতে পারি না। সকলেই তো এক প্রেশারে রাতদিন রয়েছে।' র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কাজ করা কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, এই আত্মহত্যাগুলির নেপথ্যে র্যাগিং ও বুলিংয়ের ঘটনাও জড়িয়ে। তার আলাদা করে পরিসংখ্যান বের করা উচিত। কুশলের আক্ষেপ, 'আরটিআই করে আমরা জানতে পেরেছি দেশের বহু মেজর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং ঠেকানোর যথাযথ ব্যবস্থাই নেই। পরিসংখ্যানও চেপে যাওয়া হয়।'
from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/IoWiHwl
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment