গুরুদ্বারে ৪৫ মিনিট গা-ঢাকা, পোশাক পালটে কোথায় অমৃতপাল? https://ift.tt/XctVBLj - MAS News bengali

গুরুদ্বারে ৪৫ মিনিট গা-ঢাকা, পোশাক পালটে কোথায় অমৃতপাল? https://ift.tt/XctVBLj

বেপাত্তা হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ৫ দিন। এখনও খোঁজ মেলেনি খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের। তবে, শনিবার পাঞ্জাব পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে যে বাইকে অমৃতপাল পালিয়েছিলেন, সেই বাইকটি জলন্ধর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে, দারাপুরের কাছে খালের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমৃতপালের নিখোঁজ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কী কী বিষয় সামনে এসেছে, জেনে নেওয়া যাক এক ঝলকে-ওয়ারেন্ট জারি'ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে'-র প্রধান অমৃতপালের নামে লুক আউট নোটিস এবং জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। এক সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার পাঞ্জাব পুলিশের আইজি সুখচেন সিং গিল বলেন, 'অমৃতপালকে গ্রেপ্তারির সব রকম চেষ্টা চলছে। অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও পাঞ্জাব পুলিশকে সব রকম ভাবে সাহায্য করছে।' কী ভাবে পালালেন-গত ১৮ মার্চ পুলিশের তাড়া খেয়ে এসইউভি করে পালাচ্ছিলেন অমৃতপাল। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, প্রথমে একটি গুরুদ্বারে মিনিট ৪৫ গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পোশাক বদলে মোটর সাইকেলে চেপে পালান। অমৃতপালের খোঁজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র।এর মধ্যে সামনে এসেছে একটি সিসিটিভি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাঠের কাছে একটি বাইক রাখা। কাছেই আরও একটি বাইক দাঁড়িয়ে। প্রথম বাইকে তিন জন রওনা দেওয়ার পর দ্বিতীয়টিও রওনা দেয়। আইজি গিল জানান, অমৃতপালকে পালাতে সাহায্য করেছে, এমন চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাঙ্গাল আম্বিয়ান গুরুদ্বারের গ্রন্থি রঞ্জিত সিং জানিয়েছেন, শনিবার বেলা একটা নাগাদ ওই গুরুদ্বারে এসেছিলেন অমৃতপাল। ১.৪৫ নাগাদ সেখান থেকে চলে যান। তাঁর সঙ্গে জনা চারেক লোক ছিল। রঞ্জিত সিংয়ের কথায়, 'আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ওরা ঝামেলা করতে এসেছে। কিন্তু ওরা বলল, একটা অনুষ্ঠানে যাচ্ছে, কিছু পোশাক লাগবে। আমার ছেলের ট্রাউজার্স আর অন্য পোশাক ওকে দিয়েছিলাম। অমৃতপালের সঙ্গীরা কাকে যেন ফোন করে বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিল। কিন্তু তাতে আমার সন্দেহ হয়নি। অমৃতপাল আমার ফোনটা ব্যবহারের জন্য চেয়েছিলেন। সেটা নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আমাকে ফেরতও দিয়ে দেন। তার কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যান।' রঞ্জিত সিংয়ের স্ত্রী নরিন্দর কৌর জানিয়েছেন, গুরুদ্বার থেকে বেরোনোর আগে পাগড়িও বদলে নেন অমৃতপাল। তাঁর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।রাজনৈতিক তরজা-অমৃতপালের পিছনে পাঞ্জাব পুলিশের এই হানা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজাও। অমৃতপালের বিরুদ্ধে যে ভাবে পুলিশি হানা চলছে, সেটাকে সংবিধান-বহির্ভূত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে সরব শিরোমণি অকালি দল। তাদের নেতা সুখবীর সিং বাদল টুইটারে লেখেন, 'পাঞ্জাবে সংবিধান বহির্ভূত ধরপাকড়ে যে সব শিখ যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের পুরোদস্তুর আইনি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। যাতে পাঞ্জাবের আপ সরকার এই শিখ যুবকদের অধিকার খর্ব করতে না পারে।' এই নির্দোষদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারির কড়া নিন্দা করছে শিরোমণি অকালি দল। বাদলের বক্তব্য, 'আপ সরকার যে ভাবে পাঞ্জাবে অঘোষিত জরুরি অবস্থা এবং সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে, আমরা তার কড়া নিন্দা করছি। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ও ভোটে লাভ তোলার জন্য যে ভাবে শিখদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে, তা চলতে থাকলে ফল ভালো হবে না, সেটা সরকারকে বুঝিয়ে দিতে চাই।'পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান অমরিন্দর রাজা ওয়ারিংও এই ধরপাকড় নিয়ে পাঞ্জাবের ডিজিপি-কে চিঠি লিখেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'আমি বরাবর পাঞ্জাব পুলিশের ভালো কাজের প্রশংসা করেছি। কিন্তু এবার পাঞ্জাব পুলিশের ব্যর্থতা দেখে আমি হতবাক। অমৃতপাল নিশ্চয়ই পোশাক, গাড়ি পাল্টা পালানোর এই ছক আগেই করে রেখেছিলেন। তার মানে পুলিশি ধরপাকড় হতে পারে বলে খবর তাঁর কাছে ছিল। এটা তো গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশের চূড়ান্ত ব্যর্থতা!' কংগ্রেসের প্রতাপ সিং বাজওয়ার আবার দাবি, পুলিশ চাইলে অমৃতসরের গ্রাম থেকেই গ্রেপ্তার করতে পারত অমৃতপালকে। শুধুমাত্র জলন্ধরের উপনির্বাচনকে মাথায় রেখে আপ সরকার পুরো বিষয়টা জলন্ধরে সাজিয়েছে!নজরে স্ত্রী-ওপুলিশসূত্রে খবর, বুধবার জাল্লুপুর খেরায় পৌঁছে ডিএসপি-র একটি প্রতিনিধি দল অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কৌরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ব্রিটেন নিবাসী অনাবাসী ভারতীয় তিনি। ব্রিটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কিরণদীপ ব্রিটেনে 'নিষিদ্ধ' বব্বর খালসার সদস্য। খালিস্তানি আন্দোলন এবং 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে'-র জন্য বিদেশি অনুদান সংগ্রহের সূত্র ধরে উঠে এসেছে তাঁর নাম। অমৃতপালের পরিবারের বাকি সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/4vraQ10
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads