সংক্রমণে শিশু মৃত্যুর আঁচ বিধানসভায় https://ift.tt/tF2ghGU - MAS News bengali

সংক্রমণে শিশু মৃত্যুর আঁচ বিধানসভায় https://ift.tt/tF2ghGU

এই সময়: আগের চেয়ে সংখ্যায় কমেছে ঠিকই। কিন্তু শ্বাসনালীর সংক্রমণের শিকার কিংবা বলি এখনও অব্যাহত রাজ্যে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টে ভুগে অন্তত পাঁচ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। শুধু বাংলা নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এই মরসুমি ভাইরাল সংক্রমণ থাবা চওড়া করছে। তাই এ নিয়ে কোমর বাঁধছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। যদিও বঙ্গের বিরোধী শিবির এই ভাইরাল সংক্রমণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে এদিন বিধানসভাতেও। এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয় শাসক-বিরোধীদের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিন শিশুর মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে যারা শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছিল গত কয়েক দিন। বুধবার রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মারা যায় নদিয়ার ফুলিয়ার এক ১৪ মাসের শিশু। আর বিসি রায় শিশু হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে ও বেলায় মারা যায় রাজারহাট ও ফুলবাগানের দু'টি ৯ মাস বয়সি শিশু। বুধবার রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। একজনের বয়স সাড়ে ৬ বছর ও অন্যজনের বয়স ২ বছর। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ওই দুই শিশুকে মেডিক্যালে ভর্তি করিয়েছিল পরিবারের লোকেরা। মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, 'মৃত ওই দুই শিশু নিউমোনিয়ায় ভুগছিল।' এই সব মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের রূপালি বন্দ্যোপাধ্যায় সিং সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যান বিসি রায়ে। পরে তিনি মেডিক্যালেও যান। দু'জায়গাতেই সঙ্গে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা দু'জন বুধবারেও ওই দু'টি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছিলেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিশুরোগীদের চিকিৎসা পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখেন রূপালি। দুই হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও নার্সিং সুপারের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সূত্রের দাবি, বৈঠকেই উঠে আসে, শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টে সমস‌্যা এখন দেশের অন‌্যান‌্য অংশেও প্রবল মাথাব্যথার কারণ। সেখানেই রূপালি জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্যমন্ত্রকও বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকসের রাজ্য সভাপতি কল্পনা দত্ত জানান, কয়েক দিন আগে তাঁদের সংস্থার একটি ভার্চুয়াল আলোচনা চক্রেও দেশের বিভিন্ন অংশে শ্বাসনালীর সংক্রমণ বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (এআরআই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়ের আঁচ বৃহস্পতিবারও পৌঁছয় বিধানসভায়। বিজেপি এদিন সভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে। প্রশ্ন-উত্তর পর্বের শেষেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে ডাকেন। তাঁর প্রস্তাব পাঠ শেষ হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের আসনে উঠে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। অধ্যক্ষ বলেন, 'মুলতুবি প্রস্তাবটি পড়তে দিয়েছি। আলোচনার অনুমতি দিইনি।' তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন, সরকারের বিবৃতি দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন!যদিও আগাগোড়া নাছোড় ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সভায় উপস্থিত রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিরোধীদের প্রস্তাব মেনে বক্তব্য রাখতে সম্মতি জানান অধ্যক্ষর কাছে। চন্দ্রিমা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই সভায় অ্যাডিনোভাইরাস-সহ অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ নিয়ে তথ্য-সহ বিবৃতি দিয়েছেন। তখন বিরোধী দলের সদস্যদের তা শোনার জন্য সভায় উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।' বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আপনার কাছে কেউ জ্ঞান শুনতে চাইনি।' চন্দ্রিমা পাল্টা বলেন, 'আপনারা জ্ঞান শুনতেই চেয়েছেন, দিচ্ছি।' এর পরই শুরু হয়ে যায় হই-হট্টগোল। বিজেপি বিধায়করা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তবে তাঁরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেননি। টানা প্রায় ১৫ মিনিট বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের মধ্যেই অধ্যক্ষ প্রথমার্ধ্বের সভা মুলতুবি করে দেন। তখন বিজেপি বিধায়করা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে লবির বাইরে গিয়ে দল বেঁধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল ও মুকুলমণি অধিকারী বলেন, 'রাজ্য সরকার তথ্য চাপার চেষ্টা করছে। কোভিডের সময়েও এটি করা হয়েছিল।' শাসকদল স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/r1ups5q

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads