সূত্র মোবাইল, 'এজেন্ট' কুন্তল সিবিআই- নজরে https://ift.tt/x7oueTa - MAS News bengali

সূত্র মোবাইল, 'এজেন্ট' কুন্তল সিবিআই- নজরে https://ift.tt/x7oueTa

এই সময়: মোবাইলের সূত্রেই কি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে () ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছেন হুগলি জেলার তৃণমূলের যুব নেতা ()? গত ১৯ জানুয়ারি সিবিআই তাঁর একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। তাতে এমন কিছু তথ্য এবং কয়েকজনের নাম রয়েছে, যা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া প্রাথমিকের টেট দুর্নীতির মামলায় বেশ কয়েকজনকে জেরা করেও কুন্তলের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় তা মঞ্জুর করে সোমবার কুন্তলকে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। এ দিনই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডির বিশেষ আদালতেও পেশ করা হয়েছিল কুন্তলকে। ইডি তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালতে কুন্তল বলেন, 'ইডি সবকিছুর উপরে পর্দা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে তা...।' কুন্তলের বাক্য অসম্পূর্ণ থাকতেই বিচারক তাঁকে বলেন, 'আপনি শিক্ষিত মানুষ। এখানে শুনানি হচ্ছে। যা বলার আপনার আইজীবীকে বলুন।' তাঁর আইনজীবী বিচারককে বলেন, 'হুজুর তেমন কিছু নয়।' তবে আদালত থেকে বেরনোর সময়ে কুন্তল বলেন, 'তাপস মণ্ডলকে বাইরে রেখে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ইডি।' এদিন আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালতে কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানান গোয়েন্দারা। চন্দন-সহ ৬ জন এজেন্টকে এদিন আদালতে পেশ করেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে একাদশ এবং দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের মামলায় আব্দুল খালেক নামে এক এজেন্টকে আনা হয়েছিল। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনেজানায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির প্রধান এসপি সিনহার সঙ্গে খালেকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। এই মামলায় চার্জশিটও হয়ে গিয়েছে। তখনই বিচারক প্রশ্ন করেন, 'কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, পর্ণা বসুদের নাম রয়েছে।' সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, 'পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ে নাম রয়েছেন।' এর পরেই কিছুটা ভৎর্সনার সুরে বিচারক বলেন, 'ওঁদের কেন ধরতে পারছেন না?' তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী বোঝানোর চেষ্টা করেন, 'মধ্যস্থতাকারীদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।' এর আগে বেলা ১২টা নাগাদ কুন্তল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করে ইডি আধিকারিকেরা। তখন সাংবাদিকেরা তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করলে কুন্তল বলেন, 'প্রমাণ করতে পারলে এখানে আত্মহত্যা করব।' যদিও ইডি সূত্রের খবর, কুন্তল টাকার বদলে প্রভাবশালীদের গাড়ি কিনে উপহার দিতেন। এদিন আদালতে কুন্তলের আইনজীবী পিন্টু কাঁড়ার বলেন, 'আমার মক্কেলের থেকে কিছু উদ্ধার হয়নি। কিছু কাগজ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কী পাওয়া গিয়েছে, জানানো হয়নি। ইডি-র তদন্ত বিভ্রান্তমূলক। গল্প ফেঁদে সাত খেলার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।' যদিও ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, 'উদ্ধার হওয়া ডায়েরির যে হিসেব নিকেশ লেখা রয়েছে, তাতে সই কুন্তলেরই। যাঁদের চাকরি গিয়েছিলেন, তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে মামলা করে ফের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ছ'জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। ৩৫ জনের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তাই নয়, ২টি ব্যাঙ্কে ৬.৫ কোটি জমা হয়েছিল। পরে তা ৫০টি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যায়। কারা এই সুবিধাভোগী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' এদিন দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।


from Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Ajker Khobor, Latest Bengali News - Ei Samay https://ift.tt/AmksbTN
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads