Bangla News
Bengali News
News in Bengali
কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay
বাংলা নিউজ
বাংলা সংবাদ
from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3Fy4QwT
ভিড় রবিবারেও, 'যতদূর চোখ যায়', শুধু করোনা আর করোনা https://ift.tt/3mCbmvo
এই সময়: শনিবার, বড়দিনের পর বছরের শেষ রবিবারের ভিড়ও ভয় ধরাল। ওমিক্রনের ভয়। বিদেশে যাওয়ার কোনও 'হিস্ট্রি'-ই নেই, রাজ্যের এমন এক জনের শরীরে শুক্রবার রাতেই পাওয়া গিয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্ট-আক্রান্তরা ৭০ শতাংশই যেমন উপসর্গহীন, তেমনই ওমিক্রনে আক্রান্ত এক জন একসঙ্গে ১০ থেকে ৩০ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বড়দিন উপলক্ষে পার্ক স্ট্রিট থেকে শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে রবিবার যে ভাবে মাস্কহীন ভিড়ের ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে বর্ষশেষের শেষ রবিবার দর্শনীয় স্থানের ভিড়। বিশেষজ্ঞদের সাফ কথা, এই ভিড় থেকেই উপসর্গহীনদের মাধ্যমে বাকিদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, চিড়িয়াখানায় শনিবারের তুলনায় ২০ হাজার বেশি দর্শক রবিবার ঢুকেছেন। একই ভাবে শনিবারের তুলনায় ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটি, নিক্কো পার্কেও রবিবার বেড়েছে দর্শকসংখ্যা। যাঁদের অনেককেই এ দিন থুতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে, কাউকে কাউকে আবার মাস্ক ছাড়াই ২০২১ সালের শেষ রবিবার উদযাপনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। ওমিক্রনের মতো ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসানোর পরেও নাগরিকদের এই বেপরোয়া মনোভাবে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নেটিজেনদের একাংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্ক স্ট্রিট-সহ শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিতে ভিড় নিয়ে সরব হয়েছেন। শনিবার পার্ক স্ট্রিটে ভিড়ের ছবি পোস্ট করে দমদমের বাসিন্দা এক যুবক ফেসবুকে লিখেছেন, 'যতদূর চোখ যায়, শুধু করোনা আর করোনা! ঈশ্বর, মনে হয়, এঁদের ক্ষমা করবেন না।' কেউ লিখেছেন, 'তৃতীয় ঢেউকে স্বাগতম।' কারও আবার কটাক্ষ,'শারীরিক দূরত্ব মানতে মানতে ক্লান্ত, সামাজিক জমায়েতে চাঙ্গা!' রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৪ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে ২১৯ জন, অর্থাৎ ৪০ শতাংশই কলকাতার। শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯৭। এই অবস্থায় শনিবার ও রবিবার, পর পর দু'দিন নাগরিকদের একাংশের বেপরোয়া মনোভাব দেখে বর্ষীয়ান চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলছেন, 'সোমবার থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসনের যেমন আরও কঠোর ভূমিকা পালন করা উচিত, তেমনই নাগরিকদের সচেতন হওয়া জরুরি। আমজনতাকে মনে রাখতে হবে, এটাই বর্ষবরণ উদযাপনের শেষ বছর নয়।' জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অরুণাভ মজুমদারের কথায়, 'নিয়ম না-মানার ফল কী হয়েছে, তা ইউরোপের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। এর পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না, এটা দুঃখজনক। উৎসবে সামিল হোন। কিন্তু ভুলে যাবেন না, করোনার দাপট এখনও আছে। সুতরাং, যাবতীয় নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক। ভিড়ে গেলে অবশ্যই সঙ্গী হোক জোড়া মাস্ক।' কী বলছে প্রশাসন? কলকাতার হবু মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, 'দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজো, ঈদ, মহরমে যে সংযম নাগরিকরা দেখিয়েছেন, তা বর্ষবরণের দিনেও তাঁরা দেখাবেন বলে আমার বিশ্বাস। পুলিশও কড়া নজরদারি চালাবে।'
from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3Fy4QwT
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment