পুরভোটের আগেই প্রকাশ্যে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের কোন্দল https://ift.tt/3sQEXVV - MAS News bengali

পুরভোটের আগেই প্রকাশ্যে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের কোন্দল https://ift.tt/3sQEXVV

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পুরভোটের রণ কৌশল স্থির করতে ডাকা হয়েছিল দলীয় বৈঠক। সেখানেই বেআব্রু হয়ে পড়ল দলীয় কোন্দল। রবিবার জেলা কার্যালয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন দলীয় নেতারা। জলপাইগুড়ি পুরসভায় ভোট আসন্ন। কলকাতায় বিপুল ভোটে জয় লাভের পর তৃণমূলের লক্ষ্য বাকি রাজ্য। সেই বিষয়ে রণকৌশল ঠিক করতে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কথাবার্তা শুরু হতেই নেতা কর্মীদের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে শুরু হওয়া গন্ডগোল থামাতে মাইক হাতে আসরে নামতে হয় জেলা সভাপতি মহুয়া গোপকে। যদিও বৈঠক শেষে দু’পক্ষের কেউই স্বীকার করতে চাননি কোনও রকম ক্ষোভ বা বিক্ষোভের কথা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের অন্য অনেকগুলি পুরসভার সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভাতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার জেলা তৃণমুল কোর কমিটির ডাকে জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ ও জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক খগেশ্বর রায়৷ বৈঠক চলাকালীন জেলার মহিলা তৃণমূল নেত্রী যুথিকা রায় বাসুনিয়া কথা বলতে বলতে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন দলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যুব সভাপতি ঘনিষ্ঠরাও পাল্টা অভিযোগ করতে শুরু করেন। চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রায় ভেস্তে যেতে বসে বৈঠক। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের মধ্যে গোলমালের সেই ভিডিও সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মহিলা নেত্রী যুথিকা রায় বসুনিয়ার হাত থেকে মাইক নিয়ে নেন জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। নিজের বক্তব্যে তিনি সকলকে পাশে নিয়ে চলার বার্তা দেন। বার বার জানান রাজ্য সরকার সব মানুষের পাশে আছে। সকলের জন্য কাজ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি শান্ত হলে বৈঠকও হয়। যদিও বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কোন তৃণমূল নেতাই স্বীকার করতে চাননি তাঁদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ রয়েছে বা বৈঠকে কোনও অশান্তি হয়েছে বলে। যুথিকা রায় বাসুনিয়া বলেন, ‘কিছুই হয়নি।’ দলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, ‘সামান্য একটা কথা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। আমাদের দলের মধ্যে সমস্ত ক্ষোভ বিক্ষোভ ধুয়ে চলে যাবে৷’ জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘আমাদের দল এখন অনেক বড় তাই কিছু মান অভিমান থাকতেই পারে এটা আমাদের ভেতরের ব্যপার৷ এটা সম্পূর্ণ আমাদের নিজেদের বিষয়।’ বৈঠকে গোলমালের বিষয়টি নিয়ে মহুয়া অবশ্য দাবি করেন, ‘কোর কমিটি তৈরি করার জন্যই এই বৈঠক। দলের সকলকেই ডাকা হয়েছিল। ফলে যাঁদের ক্ষোভ রয়েছে তাঁরা তো সেটা বলবেনই। সে জন্যই তো বৈঠক করা।’


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/33TvPFf
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads