দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের মেয়াদ কেবল ১ মাস! https://ift.tt/32l5BLq - MAS News bengali

দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের মেয়াদ কেবল ১ মাস! https://ift.tt/32l5BLq

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। Omicron-এর হাতে ধরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে Third Wave। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে গত দু’টি ঢেউয়ের তুলনায় কিছুটা কম হবে এই ওয়েভের প্রভাব। হাসপাতাল উপচে পড়ার সম্ভাবনাও কম। শুধু তাই নয়, সংক্রমণ শিখর ছুঁলেও তা এক মাসের মধ্যেই নিম্নমুখী হবে। অতএব তৃতীয় ঢেউয়ের মেয়াদ হতে চলেছে কেবলমাত্র এক মাস! তবে সবটাই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। লাখ ছোঁবে সংক্রমণ IIT কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল এবং IIT হায়দরাবাদের এম বিদ্যাসাগর এর আগেই দেশে কোভিড সংক্রমণের গতিবিধির ভিত্তিতে সূত্র মডেলের উত্থাপন করেছিলেন। তাঁদের সেই সূত্র মডেল বলছে প্রথম দু’টি ঢেউয়ের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে তৃতীয় ঢেউয়ের মারণ ক্ষমতা। তবে হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ। ফের দৈনিক সংক্রমণ ছুঁতে পারে দেড় থেক দু’লাখের গণ্ডি। তাঁদের মতে সব থেকে খারাপ যা হতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন তাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার দৈনিক সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে এমনটা সম্ভব হবে, যদি দেখা যায় যে নতুন প্রজাতির ভাইরাস Omicron এ দেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ ধোঁকা দিয়ে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ভারতে যত মানুষ এর আগে করোনা সংক্রমিত হয়েছে সকলেরই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। তার উপর রয়েছে টিকাকরণের প্রভাব। সেই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে নতুন প্রতিলিপি গঠন Omicron-এর পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না তাঁরা। IIT-র দুই অধ্যাপক মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ছবি ভারতেও আশা জোগাতে পারে। তবে সতর্কতার কোনও বিকল্প নেই। তার অন্যতম কারণ Omicron নিজে। নতুন প্রজাতির ভাইরাসটি মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ঠিক কতটা ফাঁকি দিতে সক্ষম এখনও বিজ্ঞানী তা সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেননি। তবে Omicron নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি। হিসেব বলছে যুগ্ম ভাবে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক কোভিড সংক্রমণ সারা বিশ্বে সংক্রমণের ৩৪ শতাংশ। একই ভাবে ওই দুই রাষ্ট্রের যুগ্ম দৈনিক কোভিড মৃত্যু সারা বিশ্বে Omicron মৃত্যুর ২০ শতাংশ। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই Omicron ভীতি বেশ খানিকটা কমে আসবে ফেব্রুয়ারির পর থেকেই। ব্রিটেন-আমেরিকায় বাড়ছে Omicron বাড়ছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান হয়েছে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ৪৫ হাজার Omicron সংক্রমণের খবর রয়েছে। এঁদের মধ্যে ১২৯ জনকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে সে দেশের যা পরিস্থিতি তা একেবারে নতুন বলে মনে করছেন গবেষকরা। প্রতি সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ছে ৬১ শতাংশ করে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ছয় শতাংশ হারে। তবে মৃত্যুর হার কম। এই সময় প্রেক্ষিতে পাঁচ শতাংশের কিছু বেশিই রয়েছে তা। মনে করা হচ্ছে সে দেশে আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুতেই সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে Omicron সংক্রমণ। বাড়বে হাসপাতালের ভিড় এবং মৃত্যু। ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আগের দু’টি ঢেউয়ের চেয়ে উচ্চতর হবে Omicron-এর ঢেউ। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে তার ইঙ্গিত। চলতে পারে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। আমেরিকায় আবার ১০ লাখ ৪০ হাজার দৈনিক নতুন সংক্রমণের হিসেব মিলছে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে দেশে কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা ১২২৬। দৈনিক সংক্রমণের হার গত এক সপ্তাহে বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। কিন্তু মৃত্যুর হার একই জায়গায় আছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত নভেম্বরে উদ্ভব হয়েছিল নতুন প্রজাতির সার্স-কভ ২ ভাইরাসের। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা তার নাম দিয়েছিল Omicron । সেই দক্ষিণ আফ্রিকার ছবি খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে, নতুন প্রজাতির ভাইরাস ছড়িয়েছিল ডেল্টার তুলনায় তিনগুণ গতিতে। সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছনোর পর তার রৈখিক পতনের ছবিও ঠিক ততটাই দ্রুত। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে কমে আসছে সংক্রমণের হার। মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে Omicron-এর প্রথম সংক্রমণের পর তিন সপ্তাহের মধ্যে তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই তা কমতে শুরু করে দিয়েছে।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3squi3U
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads