ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতা-হারেও মাস্ক চাই কমপক্ষে ৮০ শতাংশের https://ift.tt/2TkoHNz - MAS News bengali

ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতা-হারেও মাস্ক চাই কমপক্ষে ৮০ শতাংশের https://ift.tt/2TkoHNz

এই সময়: লকডাউন, আত্মশাসনের বিধিনিষেধ নয়,করোনার সংক্রমণ রুখতে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হতেই হবে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসক দিবসে এই বার্তাই দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বাংলায় করোনা থেকে সেরে ওঠার হার এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ শতাংশ। এই ইতিবাচক পরিসংখ্যানে যদি স্বাস্থ্যবিধি উড়িয়ে দেয় আমজনতা, তা হলে তৃতীয় ঢেউয়ে আরও বড় বিপদ অবশ্যম্ভাবী বলে সতর্ক করেছেন এখানকার বিশেষজ্ঞরাও। ১৬ মে থেকে যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছিল রাজ্য সরকার, তা ধাপে ধাপে শিথিল হচ্ছে। এ দিকে চিকিৎসকরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। এই পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হারে অত্যুৎসাহী লোকজন যদি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন, তা হলে ফের বড়সড় ঝড় অনিবার্য বলে জানিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাবিধি মেনে চলা, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব কতটা তা বোঝাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, জনসংখ্যার অর্ধেকের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করেও লাভ নেই। তাতে সংক্রমণে পুরোপুরি রাশ টানা যাবে না। তৈরি হবে লকডাউনের মতো পরিস্থিতি, যা আর্থ সামাজিক কারণেই কেউ চায় না। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সচল রাখতেই অপ্রিয় এই পদক্ষেপ করতে হয় প্রশাসনকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল এবং বি শ্রীনিবাস বলেন, 'করোনাকে বাগে আনতে হলে অন্তত ৮০% লোককে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। আর তা যদি সম্ভব হয়, তা হলে সেই পদক্ষেপ লকডাউনের চেয়েও বেশি কার্যকরী হবে।' তাঁদের বক্তব্য, একজন সংক্রামিত যদি বিধি উড়িয়ে চলেন, তা হলে অঙ্কের হিসেবে এক মাসে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারেন। কিন্তু দূরত্ববিধি রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহার করে চললে বড়জোর ২-৩ জন সংক্রামিত হতে পারেন তাঁর থেকে। বর্তমানে ৮০ শতাংশ করোনা রোগীই উপসর্গহীন। তাঁদের থেকে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য দূরত্ববিধি ও মাস্ক অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপসর্গ দেখা দিলেই টেস্ট করানো ও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই যথেষ্ট নয়, কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে করোনাবিধি। অন্যথায় একজন আক্রান্ত হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন, কিন্তু অনেককে তার মধ্যেই সংক্রামিত করে বসবেন। ফলে সুস্থতার হার যতই বাড়ুক, সেই অনুপাতে কমবে না সংক্রমণের বহর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১ মে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন নাগরিকদের মধ্যে ৮৪.৮৬ শতাংশই সেরে উঠেছেন। ৩০ মে রাজ্যে করোনামুক্তির হার ছিল ৯১.৯৩ শতাংশ। ১৫ জুন সেটাই এক ধাপে অনেকটা বেড়ে হয় ৯৭.৪৭ শতাংশ। ১ জুলাই যা ৯৮% পেরিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যভবনকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। তার পরেও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলছেন, 'করোনার থাবা থেকে আমরা এখনও মুক্ত হইনি। তৃতীয় ঢেউ আসবে ধরে নিয়ে আমরা যেমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলছি, তেমনই নাগরিকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।' অধিকাংশ চিকিৎসকই করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি টিকাকরণেও জোর দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারাও বলেছেন, 'টিকাকরণ নিয়ে অনেক ভুল প্রচার, ভুয়ো খবর বাজারে ভাসছে। এ সবের মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা সংবাদমাধ্যমের। তবেই টিকাকরণ কর্মসূচিতে আরও গতি আসবে। মনে রাখা দরকার, করোনার বিরুদ্ধে মাস্কের পরই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই টিকা।' প্রবীণ মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, 'আমাদের মতো র‍াজ্যে বিধিনিষেধ বেশি দিন রাখা সম্ভব নয়। লোকাল ট্রেনও কিছু দিন পর চালু করতেই হবে। সুস্থতার হার বাড়লেও বিধিনিষেধ ওঠার পর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কিন্তু সমস্যায় পড়তেই হবে। দরকার টিকা নেওয়াও।' তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা ফের একবার জানাচ্ছেন, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে, এমন ভ্রান্ত ধারণার কোনও ভিত্তি নেই। যদিও সাবধানের মার নেই। সেই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, টিকাকরণে সর্বাধিক গুরুত্ব এখন দেওয়া হলেও এখনই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। লব আগরওয়াল বলেন, 'টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় অন্তত চার জন কর্মী লাগে। টিকা নেওয়ার পর আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকাও জরুরি। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সে সব সামলানো মুশকিল। তবে এলাকা ধরে ধরে বেশি সংখ্যায় শিবির করা যেতেই পারে। এতে লোকজনকে দূরে যেতে হবে না।'


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3AjjuGj
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads