শনিবার দেশজুড়ে ৩ ঘণ্টার চাক্কা জ্যামের ডাক কৃষকদের https://ift.tt/3raIudq - MAS News bengali

শনিবার দেশজুড়ে ৩ ঘণ্টার চাক্কা জ্যামের ডাক কৃষকদের https://ift.tt/3raIudq

এই সময়: তাঁদের উপর পুলিশি হেনস্থা চলছেই, বিক্ষোভস্থলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, জল ও বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হচ্ছে। নানা ভাবে কণ্ঠরোধের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ বার দেশজুড়ে 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচি কৃষকদের। শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে তিনটে অবধি দেশজুড়ে সব জাতীয় ও রাজ্যসড়ক আটকে প্রতিবাদ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে সোমবার টুইটার প্রায় আড়াইশো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় কৃষকদের ক্ষোভের () আগুনে ঘি পড়ে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, কৃষকদের সমর্থনে এবং কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছিল, বেছে বেছে বন্ধ করা হয়েছে সেই অ্যাকাউন্টগুলোই। বিতর্কের মুখে সন্ধের দিকে অ্যাকাউন্টগুলো ফের আনলক করার কথা ঘোষণা করে টুইটার। যে টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে কিষান একতা মোর্চা, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং সমাজকর্মী হংসরাজ মিনা-র অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অনুরোধেই অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টুইটার। ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইট অশান্তি ও হিংসা ছড়াতে পারে- এই যুক্তিতেই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু টুইটারের এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষক এবং নেটিজেনদের একাংশ। মহম্মদ সেলিম বলেন, 'টুইটার কোনও অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করলে সঙ্গে সঙ্গে কারণ জানিয়ে ইমেল করা হয়। আজ আমি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার প্রায় দু'ঘণ্টা পর একটা মেল পেলাম, যাতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের কোনও সংস্থার নির্দেশে টুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করা হয়েছে। যিনি কৃষি আইন বিলোপের পক্ষে কথা বলছেন, তাঁরই অ্যাকাউন্ট ব্যাক ডোরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এক ধরনের সেন্সরশিপ চলছে!' স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবেরও অভিযোগ, সরকার এ ভাবে বিরোধী-কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। এ দিকে, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লার অশান্তির ঘটনায় মোট ৪৪টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২৮ জনকে। ট্র্যাক্টর মিছিলে সিআইএসএফ আধিকারিককে তলোয়ার নিয়ে আঘাত করার অভিযোগে আকাশ প্রীত সিং নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেদিনে ট্র্যাক্টর র‍্যালিতে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছিল একাধিক তরুণ কৃষককে। তাঁদের মুক্তির দাবি নিয়ে এ দিন পার্লামেন্ট হাউসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, পাঞ্জাবের মন্ত্রী সুখজিন্দর রানধাওয়া এবং সুখবিন্দর সিং সরকারিয়া। এই গ্রেপ্তারি-বিক্ষোভের মধ্যে কৃষি আইন নিয়ে সরকার-কৃষক দু'পক্ষের দড়ি টানাটানি জারি। তিনটি কৃষি আইনের বিলোপের দাবিতে অনড় কৃষকরা। অন্য দিকে, সোমবার বাজেট পেশের সময়ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, সরকার কৃষি আইন নিয়ে আলোচনায় রাজি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরেরও বক্তব্য, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর।' কিন্তু কৃষক বিক্ষোভ রুখতে দিল্লি পুলিশ যে ভাবে নিরাপত্তার ঢাল বাড়াচ্ছে, তাতে আশু সমাধানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সিংঘু সীমানায় অস্থায়ী পাঁচিল গড়ে তোলা হয়েছে। গাজীপুর সীমানার প্রতিটি চেকপয়েন্টে কড়া নজরদারি। বিক্ষোভকারীদের কৃপাণ বা তলোয়ার থেকে বাঁচতে নতুন বর্মে সেজে উঠেছে দিল্লি পুলিশ। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের কনুই অবধি ধাতব বর্মে ঢাকা, আর হাতে শক্ত ধাতব লাঠি, যাতে বিক্ষোভকারীদের কৃপাণ বা তলোয়ারের মোকাবিলা করতে সমস্যা না হয়। এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট ।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3tli5va
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads