মধ্যপ্রদেশের বিয়ার ফ্যাক্টরিতে 'চাইল্ড লেবার'! উদ্ধার ৫৮ জন https://ift.tt/eJuIplr - MAS News bengali

মধ্যপ্রদেশের বিয়ার ফ্যাক্টরিতে 'চাইল্ড লেবার'! উদ্ধার ৫৮ জন https://ift.tt/eJuIplr

এই সময়: স্কুলবাসে চেপে রোজ সকালে বেরিয়ে যায় ওরা। ফেরে প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা পার করে। কোথায় যায় বাচ্চাগুলো? প্রশাসন নাকি কিছুই জানত না! কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরোল মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার একটি বিয়ার ফ্যাক্টরি থেকে। স্থানীয় সূত্রে 'গোপন' খবর পেয়ে ভোপালের কাছে শনিবার ISO অনুমোদনপ্রাপ্ত 'সোম ডিস্টেলারিজ়' নামের ওই বিয়ার ফ্যাক্টরিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাদের সঙ্গে ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'বচপন বচাও আন্দোলন'-ও। রবিবার প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানাল, ওই অভিযানে ৫৮টি বাচ্চাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এদের দিয়ে ওই কারখানায় শিশুশ্রমের কারবার চলছিল। উদ্ধার হওয়া বাচ্চাদের মধ্যে ৩৯ জন ছেলে এবং ১৯ জন মেয়ে। কমবেশি সবার হাতে-পায়ে জ্বালাপোড়ার ক্ষতচিহ্ন। খুব সম্ভবত তা ওই কারাখানায় বিয়ার, দেশি মদ এবং আরও কিছু পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত কড়া কেমিক্যাল ও অ্যালকোহল থেকেই!চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের তড়িঘড়ি টুইট-'শ্রম ও আবগারি দপ্তরের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশকেও যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কথা দিচ্ছি, দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।' কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন উঠছে- পুলিশ-প্রশাসন কি আগে এ সবের কিছুই জানত না? প্রশ্ন উঠছে, কারণ- দু'দিন আগে এই রায়সেন জেলারই তিনটি কারখানা থেকে শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করা ৩৬ জন বাচ্চাকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শনিবারের তল্লাশি অভিযানে টিমকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খোদ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। আর বচপন বচাও আন্দোলনের টিমে লিডার ছিলেন সংস্থার ডিরেক্টর মণীশ শর্মা। তাঁর কথায়, 'অ্যালকোহল আর চড়া কেমিক্যালের দুর্গন্ধ বড়দেরই সহ্য হয় না। তা হলে বাচ্চাদের অবস্থাটা ভাবুন! দীর্ঘদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের এই নরকের মধ্যে রেখে কাজ করানো হতো। বিয়ার কারখানা থেকেই স্কুলবাস গিয়ে বাচ্চাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসত। ১২-১৪ ঘণ্টা খাটাত। এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করে দোষীদের কড়া শাস্তির আর্জি জানাচ্ছি।' শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি সূত্রের বক্তব্য, 'ভুলিয়ে ভালিয়ে কারখানায় কাজের জন্য আনা হলেও এই বাচ্চাদের আদৌ কী মজুরি দেওয়া হতো, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মজুরি দেওয়া হলেও আর যা-ই হোক এতগুলো বাচ্চাকে এ ভাবে নরকের মধ্যে ফেলে রেখে কাজ করানো যায় না।'


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Read Latest Bengali News, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/vD41GIT
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads