Ajker Bangla Khabar
Bangla News
Bengali News
Latest Bengali News - Eisamay
বাংলা নিউজ
from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/o0ZGv59
দেশের মধ্যে বিজেপির সবচেয়ে ভালো ফল হবে বাংলাতেই, ভবিষ্যদ্বাণী নমোর https://ift.tt/iu2pvKH
মণিপুস্পক সেনগুপ্ত, এই সময় বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হবে বলে বিরোধীরা নিয়ম করে ভবিষ্যদ্বাণী করছে। তবে সে সবে কান দিচ্ছেন না। তাঁর আত্মবিশ্বাস ভরপুর। এ বারের লোকসভা ভোটে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বিজেপি সব থেকে ভালো ফল করবে বলে মনে করছেন নমো। তাঁর কথায়, ‘এ বারের নির্বাচনে বিজেপির সব থেকে বেশি সাফল্য পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসতে চলেছে।’ তৃণমূল অবশ্য নিশ্চিত, শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই বিজেপি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘ইসবার চারশো পার নয়, ইসবার পগার পার।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘ষষ্ঠ দফার ভোটের শেষেই বাংলায় ২৩টি আসন তৃণমূলের ঝুলিতে চলে এসেছে।’মঙ্গলবার বাংলায় দুটি নির্বাচনী জনসভা এবং একটি রোড শো করেন মোদী। তার আগে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন যে, এ বারের লোকসভা ভোটে বাংলার উপরেই বাজি ধরেছে বিজেপি। ওই সাক্ষাৎকারে নমো বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ আমাদের তিন থেকে আশি করে দিয়েছে। গত লোকসভা ভোটেও আমরা এ রাজ্য থেকে ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। এ বার গোটা দেশে সব থেকে ভালো ফল বিজেপি বাংলাতেই করবে।’ মোদীর সংযোজন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির পক্ষে একতরফা ভোট হচ্ছে। জনতা-জনার্দন এগিয়ে এসেছে। তাই তৃণমূল শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’ তাঁর দাবি, ‘বাংলায় লাগাতার খুন, হামলা চলছে। বিজেপি কর্মীদের জেলে ভরে রাখা হচ্ছে নির্বাচনের আগে। এত অত্যাচারের পরেও দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন।’নিজের রাজ্য গুজরাট নয়, এমনকী গো-বলয়ের উত্তরপ্রদেশও নয়। বিজেপি শাসিত সব রাজ্য ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের উপর এতটা ভরসা কোন সমীকরণে করছেন প্রধানমন্ত্রী? ২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির পালে যে হাওয়া লেগেছিল, ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে সেই হাওয়া অনেকটা ম্লান। প্রশ্ন উঠেছে, এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর এত আত্মবিশ্বাস আসছে কোথা থেকে? মাস দেড়েক হতে চলল লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলায় ১৬টি সভা করেছেন মোদী। একটি সভা থেকেও তাঁকে বলতে শোনা যায়নি, দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো রেজাল্ট বাংলাতেই করতে চলেছে বিজেপি। অথচ শেষ দফার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, এ বারের ভোটে তাঁদের পারফরম্যান্স বাংলাতেই সব থেকে ভালো হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, ভেবেচিন্তেই ঠিক সময়ে এ কথা বলেছেন মোদী। কারণ, শেষ দফায় বাংলায় যে ন’টি আসনে ভোট হতে চলেছে তার মধ্যে ডায়মন্ডহারবার, বসিরহাট, জয়নগর এবং বারাসতে সংখ্যালঘু ভোটের হার বেশ ভালোই। পাশাপাশি, যাদবপুর, মথুরাপুর এবং কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে সংখ্যালঘু ভোটের হার বিজেপি পুরোপুরি উড়িয়ে দিতেও পারছে না। এতদিন লাগাতার মেরুকরণের অস্ত্রেই শান দিয়ে এসেছে বিজেপি। এ বার ভোট শেষ হওয়ার আগেই জয়ের ঢাক বাজিয়ে দিয়ে মোদী আদপে সংখ্যাগুরু ভোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছেন কৌশলে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু ভোটারদের বোঝাতে চেয়েছেন, দুর্দান্ত ফল করছে। তাই অন্য কোনও দলকে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করার অর্থ হয় না। বিজেপির এক পদাধিকারীর কথায়, ‘একই কৌশল উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটেও নিয়েছিল বিজেপি। তারা আসছেই, এই আবহ তৈরি করে আদায় করে নিয়েছিল ওই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সমর্থনও। বাংলাতেও মোদী একই কৌশল প্রয়োগ করতে চাইছেন সম্ভবত।’ গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বাড়তি জোশ আনবে। তৃণমূল অবশ্য এদিন ঠিক উল্টো ধারণাই তৈরি করতে চেয়েছে। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াফুল প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘মুম্বই হচ্ছে দেশের ইকোনমিক ক্যাপিট্যাল। সেখানে কত রেট উঠেছে জানেন? ইন্ডিয়া জোটকে দিয়েছে ৩৪৮। তার মানে বুঝতে পারছেন বিজেপি কত পাচ্ছে? ক্ষমতায় তো আসছে না। মোট আসন তো ৫৪৩। এতদিন তো বলছিলেন ইসবার হোগা চারশো পার। আমি বলছি ইসবার হোগা পগার পার।’ ডায়মন্ডহারবারে রোড-শো শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘ছয় দফার ভোট হয়েছে। আমি বলেছিলাম, ২০১৯-এ তৃণমূল যতগুলি আসনে জিতেছিল, এ বার তার থেকে একটি হলেও বাড়বে। এখনও ন’টি কেন্দ্রে ভোট বাকি। এর মধ্যেই তৃণমূল ২৩ পার করে ফেলেছে। ৪ তারিখ ভোটবাক্স খুলবে, মিলিয়ে নেবেন।’ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদীর মুখে বাংলা সম্পর্কে ভরপুর আত্মবিশ্বাসের কথা শোনা গেলেও মঙ্গলবার বারাসত এবং যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট-প্রচারে তাঁর বক্তব্যে কিছু উদ্বেগও ফুটে উঠেছে। যেমন, বাম ভোট-ব্যাঙ্ক যে বিজেপিকে চাপে রেখেছে তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট। বারুইপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘বামেদের ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না। তৃণমূল আর সিপিএম দুটো আলাদা পার্টি। কিন্তু দোকান একটাই। একই জিনিস পাওয়া যায় সেখানে। দিল্লিতে মোদী সরকারই হচ্ছে, এটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তখন আর বামেদের ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন কেন? সরাসরি বিজেপিকেই ভোট দিন। আবার বলছি, তৃণমূল আর সিপিএম একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।’
from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/o0ZGv59
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment