ত্রিশূল দিয়ে জ্ঞানবাপী কুয়ো তৈরি করেন শিব, ভাঙেন ঔরঙ্গজেব! দাবি হিন্দু পক্ষের https://ift.tt/7Lhtlqu - MAS News bengali

ত্রিশূল দিয়ে জ্ঞানবাপী কুয়ো তৈরি করেন শিব, ভাঙেন ঔরঙ্গজেব! দাবি হিন্দু পক্ষের https://ift.tt/7Lhtlqu

ASI-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ফের খবরের শিরোনামে জ্ঞানবাপী মামলা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের মসজিদ নিয়ে করা বৈজ্ঞানিক সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসে হিন্দু পক্ষ। ৮৩৯ পেজের এই রিপোর্ট মামলাকারী দুই পক্ষের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে।হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন বলেন, 'ASI রিপোর্টে জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে মন্দির থাকার ৩২ রকমের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মহামুক্তি মণ্ডপ, হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি, স্বস্তিক চিহ্ন, নাগ দেবতার চিহ্ন, শঙ্খের মতো একাধিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও শিলালেখ এবং ফারসি ভাষায় নানা হরফ পাওয়া গিয়েছে। যেখানে ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে এই মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট হয়েছে।'

শিবের ত্রিশূলে তৈরি জ্ঞানবাপীর কুয়ো

হিন্দুরা মনে করেন, কেন্দ্রের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলা যায় না। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে জ্ঞানবাপী তৈরি হওয়ার সাফ উল্লেখ করেছে বলে দাবি। ASI রিপোর্টেও মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে এবার সরব হিন্দু পক্ষ। তাদের দাবি জ্ঞানবাপী একটি কুয়ো ছিল। যার অর্থ জ্ঞানের কুয়ো। এটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপীর মধ্যবর্তী অংশ অবস্থিত ছিল। ১০ ফিট গভীর এই কুয়োটি নিজের ত্রিশূলের মাধ্যমে খুঁড়েছিলেন ভগবান শিব। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে হিন্দু পূরাণে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই কুয়োর জল ব্যবহার করা হয় বলেও দাবি হিন্দুদের। এই কুয়োর জল হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এবং এই জল পান করলে জ্ঞানের প্রাপ্তি হয় বলেই মনে করে তারা।

জ্ঞানবাপীর জল দিয়ে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

জ্ঞানবাপীর জল দিয়েই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের জলাভিষেক এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। এই পরম্পরা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। পরবর্তীতে ১৬৬৯ সালে ঔরঙ্গজেব সেই কুয়ো ভেঙে সেখানে মসজিদ তৈরি করেন। এই মসজিদের পিছনের অংশ এখনও সম্পূর্ণ মন্দিরের মতোই দেখতে বলে দাবি তাদের।এদিকে, মুসলিম পক্ষ ASI-এর এই রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, যে মূর্তি এবং হিন্দু মন্দিরের চিহ্নগুলোর কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তা নতুন নয়। মসজিদের পিছনের অংশে তাদের একাধিক ভাড়াটে ছিলেন। তারা এই মূর্তিগুলো নির্মাণ করতেন। অবশিষ্টাংশ ফেলে দিতেন। সেগুলিকেই পুরনো মূর্তি ভেবে ভুল করা হচ্ছে।


from Bangla News, Latest Bengali News, Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/7Fe0yKh
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads