যাদবপুর পরিস্থিতির জন্য ব্রাত্যর কাঠগড়ায় বোসই https://ift.tt/sKk0gGu - MAS News bengali

যাদবপুর পরিস্থিতির জন্য ব্রাত্যর কাঠগড়ায় বোসই https://ift.tt/sKk0gGu

এই সময়: যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রমৃত্যু এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেই দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাবে বলতে গিয়ে ব্রাত্যর মন্তব্য, 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছেমতো একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কেউ জানেন না, কোন উপাচার্যর কার্যকাল কত দিন। যাদবপুরের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সে জন্য রাজ্যপালই ১০০ শতাংশ দায়ী।' পরে লবিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি মনে করছে রাজনৈতিক ভাবে জেএনইউ-র মতো যাদবপুরেরও দখল নিয়ে গৈরিকীকরণ করতে পারবে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মুক্ত চিন্তার জায়গা। কিন্তু মুক্ত চিন্তা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করতে আচার্যর প্রতিনিধির নাম চেয়েছি। রাজভবন দিচ্ছে না। ডিন, শিক্ষক নিয়োগ এবং পদোন্নতির জন্যও রাজভবন কোনও সহযোগিতা করছে না।' ব্রাত্যর বক্তব্য, 'সুপরিকল্পিত ভাবে উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে সরিয়ে রাখতে চাইছেন রাজ্যপাল। স্বেচ্ছাচারিতা এবং এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা থেকেই এটা করা হচ্ছে।' প্রশ্নোত্তর-পর্ব শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব ঘিরে বিধানসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কালো কাপড় গলায় ঝুলিয়ে বিজেপি বিধায়করা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হতেই সভা থেকে ওয়াকআউট করেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতেই জানিয়ে দেন, 'বিষয়টি বিচারাধীন। তবু বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে মুলতুবি প্রস্তাবের উপর বিরোধী দলকে পাঁচ মিনিট বক্তব্য রাখতে দিচ্ছি।' বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'দেশবিরোধী কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি-সহ যে সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশিকা দিয়েছিলেন, তা-ও মানা হয়নি।' কেন মানা হয়নি, সেটা তিনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চান। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, 'প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল কেন? র‍্যাগিং রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?' শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য পরিষ্কার জানান, 'র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় যারা অপরাধী, তাদেরই দায়ী করব। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন। মৃত ছাত্রকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব না। আমরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থাও নিচ্ছে। সারা দেশে অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও র‍্যাগিং রোখা যায়নি। খড়্গপুর আইআইটি'তে সম্প্রতি এমন ঘটনা সামনে এসেছে।' বিরোধী দলনেতা এই সময়ে চিৎকার করে বলেন, 'আপনি তো র‍্যাগিংকে সমর্থন করছেন। আপনি বিভাজন করছেন।'


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/no9UcSQ
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads