রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের পাওয়ারফুল তাস কি শরদই https://ift.tt/PxgmAtv - MAS News bengali

রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের পাওয়ারফুল তাস কি শরদই https://ift.tt/PxgmAtv

এই সময়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে ভোট স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে কাল, বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে একটি নাম- শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রস্তাব নিয়েই গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে এনসিপি নেতা পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাওয়ারকে খাড়গে জানান, বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁকেই চায় কংগ্রেস। তবে, পাওয়ার এখনও সিদ্ধান্ত জানাননি বলেই শোনা যাচ্ছে। রবিবার আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং-ও এনসিপি প্রধানকে ফোন করেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, পাওয়ারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা খাড়গে। পাওয়ারকে প্রার্থী করার ব্যাপারে ঐকমত্য তৈরিতে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে চাইছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান নানা পাটোলে তো বলেই দিয়েছেন, ' রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হলে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস তাঁর পাশে আছে।' শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সরাসরি কিছু না বললেও সূত্রের খবর, পাওয়ারের নামে সায় রয়েছে তাঁর। উদ্ধব নাকি বলেছেন, 'পাওয়ারের ৫০ বছরের নির্বাচনী রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। চার বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তা ছাড়া প্রতিরক্ষা ও কৃষিমন্ত্রীও ছিলেন। মহারাষ্ট্র এবং ভারতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পাওয়ার। এখন রাজনীতিক কেরিয়ারের শেষ পর্বে এসে এমন একটা সম্মানজনক পদ তাঁর প্রাপ্য।' ১৮ জুলাই। গণনা হওয়ার কথা ২১ জুলাই। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। বিজেপিও এখন তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। সূত্রের খবর, এনডিএ সদস্য এবং বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ইলেক্টোরাল কলেজের ভিত্তিতে হয়। প্রায় ৪,৮০৯ জন সাংসদ ও বিধায়ক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য নির্ধারিত হয় সেই রাজ্যের জনসংখ্যা এবং বিধানসভা আসনের ভিত্তিতে। সেই হিসেবে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ১০,৮৬,৪৩১। কোনও প্রার্থী এর পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট পেলেই তিনি জিতবেন। বিজেপি এবং জোটসঙ্গী মিলিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজের ৪৮ শতাংশ ভোট তাদের নিশ্চিত। বাকি ২ শতাংশের জন্য বিরোধী দলগুলির উপর ভরসা করতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। ২০১৭-এর ভোটে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস, জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বিজেপি জোটের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এ বার বিরোধী জোট সঙ্ঘবদ্ধ হলে বিজেপির সেই লাভের সম্ভাবনা কম। উল্টোদিকে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির 'মহাবিকাশ আগাড়ি' জোট তৈরিতে পাওয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই জোটে অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলেও পাওয়ারই একমাত্র রাজনীতিক, যাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক খুব ভালো। যে কোনও সমস্যা নিয়ে মোদীর দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি। ফলে, মোদী এবং মহারাষ্ট্রের অ-বিজেপি সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর কাজটা আজও পাওয়ার-ই করেন। মোদী-পাওয়ারের সম্পর্কে ওঠাপড়া, প্রশংসা-সমালোচনার দোলাচল এলেও তাঁদের সরাসরি কথা বলার দরজাটা কোনও দিন বন্ধ হয়নি। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি পদের জন্য বিরোধীদের অন্যতম পছন্দ তিনি। তবে, পাওয়ার বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হলে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ভুলে মোদীও কি তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারবেন? রাজনীতির জটিল খেলায় প্রশ্ন থাকছেই।


from Bengali News, Bangla News Live, আজকের বাংলা খবর, Current News in Bengali, বাংলা নিউজ, কলকাতা বাংলা খবর - এই সময় https://ift.tt/hbFNmc9

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads