৬ দিন পর খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল https://ift.tt/3sA5w1n - MAS News bengali

৬ দিন পর খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল https://ift.tt/3sA5w1n

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ৬ দিন পর ধরা পড়ল কুলতলির সেই বাঘ ()। গত বৃহস্পতিবার থেকেই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছিল কুলতলির বিভিন্ন এলাকায়। লোকালয়ের খুব কাছে চলে আসে বাঘটি। মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল তার গর্জনও। পিয়ালি নদীর চর সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায়। গত শুক্রবার সকাল থেকেই বাঘ ধরতে শুরু হয়েছিল বন দফতরের তৎপরতা। পিয়ালির চর কেল্লা এলাকার জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন বন কর্মীরা। বার বার অবস্থান বদলায় বাঘটি। পরে শেখপাড়া এলাকায় বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরেই নাইলনের জাল লাগানো হয়। সোমবার সারাদিন ধরে নানানভাবে চেষ্টা চালানো হয় কিন্ত দক্ষিণরায়কে ধরা সম্ভব হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ধরা পড়ে বাঘটি। খাঁচা বন্দিও করা হয় তাঁকে। বনকর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে জাল, খাঁচা পেতে রাখলেও বাঘটিকে ধরতে না পারায় গত রবিবার বনাধিকারিক ও বন কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। একদিকে বাঘের আতঙ্কে প্রাণ সংশয়, অন্যদিকে চার-পাঁচদিন ধরে কাজে যেতে না পারায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন গ্রামের দিন-আনা, দিন খাওয়া মানুষগুলো। বাঘটি ধরা না পড়ার জন্য বন দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। সোমবার বাঘের নাঙাল পেতে চকোলেট বোম ফাঁটানো থেকে চিৎকার চেচামেচি সবই হয়েছে। কিন্তু তার দেখা মেলেনি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘটির পায়ের নীচে এবং কাঁধে দু’টি গুলি চালানো হয়েছে। তার ফলেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে সে। জালের ওপারে খাঁচা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় দক্ষিণরায়কে। বাঘ ধরা পড়ার খবর পেয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘৬ দিন পরে যে কাবু করা গিয়েছে তা বন কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এই শীতের রাতে তাঁরা অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। এত দিন কোনও ভাবেই বাঘটিকে বাগে আনা যাচ্ছিল না। এ দিনই বন দফতরের তরফে ঠান্ডা জল ছুঁড়ে বের কর করে আনার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তার আর প্রয়োজন হল না। এ বার চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। দাঁত, পা ঠিক আছে কিনা, দেহে কোথাও আঘাত আছে কিনা দেখে, প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লেও গর্জন করছিল সে। বাঘটির চিকিৎসা করানোই এখন প্রাধান্য বনদফতরের কাছে। প্রাথমিক ভাবে যে কোনও পশুকে ঘুম পাড়ানি গুলিতে আচ্ছন্ন করলে কিছুদিন নজরদারিতে রাখা হয়। এই বাঘটির ক্ষেত্রে আরও কিছু সমস্যা থেকে থাকতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। গত ৫ দিন ধরে অভুক্ত রয়েছে সে। সমস্ত দিকগুলি নজরে রাখা হচ্ছে বলেই বনদফতর জানিয়েছে।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3szMxUB
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads