বাংলাতেও ডাক্তারদের কর্মবিরতি, প্রভাব পড়ল পরিষেবায় https://ift.tt/3pzYRlN - MAS News bengali

বাংলাতেও ডাক্তারদের কর্মবিরতি, প্রভাব পড়ল পরিষেবায় https://ift.tt/3pzYRlN

এই সময়: দিল্লিতে আন্দোলনরত রেসিডেনশিয়াল চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতি শুরু করলেন এ রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) চিকিৎসকেরা। দিল্লির আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহ-গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি-রা আন্দোলন শুরু করেন। দুপুরের পর শুরু হয় কর্মবিরতি। যার জেরে ধাক্কা খেতে শুরু করেছে চিকিৎসা পরিষেবা। আজ, বুধবার সকাল থেকে দেশজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়শন (এফএআইএমএ)। তার ফলে আজ থেকে রোগীদের হেনস্থার শিকার হতে হবে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী মঙ্গলবার রাতে বলেন, 'ওঁরা প্রতিবাদ করছেন। তাঁদের যত ভাবে বোঝানো যায়, বোঝাব। তবে ওঁরা কর্মবিরতি করলেও বাকিরা রয়েছেন। সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। বাকিরা পরিস্থিতি সামলে দেবেন। পরিষেবা ব্যাহত হবে না। সব দিকেই আমাদের নজর রয়েছে।' কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএসের একদল চিকিৎসক মঙ্গলবার সকাল থেকেই পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা ধরনাতেও বসেন। এর পর চিত্তরঞ্জন, আরজি কর, উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যার প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে এখনও কারও ছুটি বাতিল করা হয়নি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি-দের পক্ষে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা চাই, দিল্লিতে চিকিৎসক নিগ্রহে জড়িত পুলিশের শাস্তি। একই সঙ্গে অনলাইন কাউন্সেলিংও শুরু হোক।' তাঁর যুক্তি, পিজিটি-দের আগের ব্যাচ পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে তিন বছরের পিজিটি-দের কাজ দু'বছরের ব্যাচ মিলে সামলাচ্ছে। এখন টানা ৩০-৩২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে হচ্ছে। যার জেরে এমনিতেই চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। অনুষ্টুপ বলেন, 'মেদিনীপুর ছাড়া রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে ওখানেও কর্মবিরতি শুরু হবে।' ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। অবশেষে এ বছরের সেপ্টেম্বরে সেই পরীক্ষা হয়। তার পরে এখনও কাউন্সেলিং হয়নি। এরই প্রতিবাদে সোমবার রাস্তায় নামেন দিল্লির একাধিক হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আন্দোলনকারীদের যুক্তি, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। ফলে আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া তাঁদের আর অন্য উপায় ছিল না। মঙ্গলবারও চিকিৎসকরা যখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে মিছিল করে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন, তখন পুলিশ-চিকিৎসকদের মধ্যে ধস্তাধ্বস্তি হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রতিবাদ মিছিলের সময়ে অন্যায় ভাবে হামলা করেছে পুলিশ। মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আইটিও বন্ধ করে প্রতিবাদ করছিলেন চিকিৎসকরা। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরাই পুলিশের উপরে হামলা চালান। পুলিশকর্মীদের মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এফএআইএমএ-এর ডাকা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে এইমস-এর রেসিডেনশিয়াল চিকিৎসকদের সংগঠনও। তারা জানিয়েছে, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের তরফে সন্তোষজনক উত্তর না-মেলে তা হলে আজ, বুধবার থেকে আপৎকালীন বাদে সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলায় অ্যাসোসিয়েশন ফর হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের তরফেও পুলিশি নিগ্রহের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। দেশজুড়ে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের পাশে তাঁরা আছেন বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3z6OWXU
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads