Bangla News: বেঙ্গলি খবর
Breaking News In Bengali
Latest News in Bengali
সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3jI1Gyu
পথে বাস নামায় ফিরল স্বস্তি https://ift.tt/3dTx89F
এই সময়: পেট বড় বালাই! লস্করপুর থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় গড়িয়া। সেখান থেকে ফের ৪০ টাকা অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে গোলপার্ক। কিছুটা হেঁটে গড়িয়াহাট মোড়। সেখান থেকে আবার ৩০ টাকা অটোরিকশায় দিয়ে পার্ক সার্কাস। তার পর হেঁটে এক্সাইড মোড়। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী আর্য ভৌমিককে এই ভাবেই বাড়ি-অফিস যাতায়াত করতে হচ্ছিল এক-একদিনে প্রায় আড়াইশো টাকা খরচ করে। বৃহস্পতিবারও অফিসে গেলেন তিনি। তবে সরকারি বাসে একপিঠের খরচ পড়ল ১২ টাকা। আর্য বললেন, 'আমার কাজ বাড়িতে বসে করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাড়ি-অফিস যাতায়াতের খরচ দশ গুণ বেড়েছিল। কিছুটা স্বস্তি পেলাম।' করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আত্মশাসনের মধ্যেও বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে বৃহস্পতিবার ফের চালু হয়েছে বাস-মিনিবাসের 'নিয়ন্ত্রিত' পরিষেবা। নিয়ন্ত্রিত, কেননা প্রশাসন জানিয়েছে, বাস-মিনিবাস চলবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। গণ পরিবহণের অভাবে প্রায় দেড় মাস ঘরে আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেও এ দিন পথে বার হলেন। তবে প্রথম দিন তাঁদের পরিষেবা দিতে ছিল কার্যত শুধুই সরকারি বাস। বেসরকারি বাসের সংখ্যা ছিল একেবারে আক্ষরিক অর্থেই হাতেগোনা। বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্য সরকারের ক্যালেন্ডারে ছুটির দিন। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজনও ছিল তুলনায় কম। আজ, শুক্রবার কাজের দিনে বেসরকারি বাস-মিনিবাসের সংখ্যা কম থাকলে সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন যাত্রীদের অনেকেই।পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই প্রায় চার হাজার বাস নামানো হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি বাস ছিল না। ওদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি ছিল। আমি পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে ওদের সঙ্গে কথা বলব।' এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি বাস ডিপোয় ছিল যাত্রীদের লম্বা লাইন। ভোরে দিনের প্রথম ট্রিপে যাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও দ্বিতীয় ট্রিপ থেকেই বাসের ভিতর যাত্রীদের মধ্যে যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বাসকর্মীদের। শুধু শহর নয়, শহর লাগোয়া হাওড়া স্টেশন, ধূলাগড়, গড়িয়া, বারুইপুর সর্বত্রই মোটের উপর ছবিটা ছিল এক। স্ট্যান্ড থেকে মোট আসনের অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস বেরনোর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রথম স্টপ আসার পরেই যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বিধি শিকেয় ওঠে। গোলপার্কের কাছে নিজেকে ভিড়ে ঠাসা বাসের মধ্যে গুঁজে দিতে দিতে প্রৌঢ় মণিলাল বসু বললেন, 'এতদিন বাড়িতে বসে আছি। আজ আর অফিস কোনও অজুহাত শুনবে না।' গড়িয়ায় এস-ফাইভ বাসের চালক গোপীনাথ গুড়ে দ্বিতীয় ট্রিপের শুরুতেই অসহায় ভাবে জানালেন, 'আমাদের পক্ষে যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। যাঁরা পথে বেরিয়েছেন, তাঁরা পেটের দায়ে বেরিয়েছেন।' বহু ক্ষেত্রেই কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও অফিসারদের সামনেই বাস বোঝাই করে যাত্রীরা উঠেছেন। যা দেখে পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের অনেকেই বলেছেন, 'দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলেই প্রথম দিন এমন ভাবে ঝুঁকি নিয়ে পথে বেরিয়েছেন যাত্রীরা।' প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর সরকারি বাস আসবে। প্রাথমিক ভাবে এমন পরিকল্পনা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই সময়ের ব্যবধান বেড়েছে। যে কারণে বিভিন্ন স্টপে যাত্রীদের লাইন দীর্ঘতর হওয়ার দৃশ্য শহরের সর্বত্রই চোখে পড়েছে। এই অবস্থায় বেসরকারি বাস-মিনিবাস কি পরিষেবা দেবে? বাস মালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির তরফে রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলছেন, 'আমরা কাউকে বাস চালাতে বা বন্ধ রাখতে বাধ্য করিনি। যাঁরা পেরেছেন, বাস বের করেছেন। বেশির ভাগ মালিকের কাছেই পয়সাকড়ি অবশিষ্ট নেই।' মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে স্বপন ঘোষ বলছেন, 'অর্ধেক যাত্রী মানে কি মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী? নাকি বাসে যত যাত্রী ধরে তার অর্ধেক? বিষয়টি স্পষ্ট নয়।' এদিন শহর হাওড়ায় বেসরকারি বাস চোখে না পড়লেও সরকারি বাসের অভাব ছিল না। আবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় ও দূরপাল্লার বাসরুট রয়েছে কমপক্ষে ৫০টি। অথচ বৃহস্পতিবার কোনও বাস চোখে পড়েনি। হাওড়া জেলার বুক চিরে গিয়েছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাসের সংখ্যা কম থাকায় এ দিন ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দেদার শাটল চলেছে। হুগলি জেলার সদর শহর চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮টি লোকাল রুট এবং একটি এক্সপ্রেস রুটে বাস ছাড়ে। তবে এ দিন শুধু এই চারটি রুটের বাস চলেছে। দক্ষিণবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনাস হলো আরামবাগ। অথচ প্রথম দিনে আরামবাগ টার্মিনাসে সেই ভাবে বেসরকারি বাস চোখে পড়েনি। হাতেগোনা কয়েক জন যাত্রী নিয়ে সকাল থেকে মাত্র পাঁচটি বেসরকারি বাস বেরিয়েছে। আরামবাগ শহরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বেআইনি ইঞ্জিন ভ্যান। উত্তর ২৪ পরগনায় অধিকাংশ রুটে এ দিন বেসরকারি বাস নামাননি মালিকরা। তবে সরকারি বাস যথেষ্টই ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বাসের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপে খুবই কম বাস চলেছে।
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3jI1Gyu
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment