Ajker Bangla Khabar
Bangla News
Bengali News
Latest Bengali News - Eisamay
বাংলা নিউজ
from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/oPrj67S
আবাসনে শিবির করে ই-বর্জ্য কিনবে পুরসভা https://ift.tt/ptCv0sa
শহরজুড়ে দিন দিন বাড়ছে নষ্ট হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা ই-বর্জ্যের পরিমাণ। এর জেরে নানা রকমের রোগ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনই বাড়ছে দূষণের মাত্রাও। এই সমস্যা ঠেকাতে অফিস পাড়া এবং শহরের বহুতল আবাসনগুলিতে শিবির করবে কলকাতা পুরসভা। এই শিবিরে কেনা হবে ই-বজ্য। ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে খবর, সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে পুরসভার। এই ই-বর্জ্য পুরসভার কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করবে। বিভিন্ন রকমের ই-বর্জ্যের দামও নির্দিষ্ট করেছে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর। রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া সেই দামেই ই-বর্জ্য কেনা হবে। সংগ্রহের পর এই ই-বর্জ্য তুলে দেওয়া হবে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের হাতে। ই-বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে যে সংস্থাগুলি, তাদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, অনেকেই বাড়ির অন্য বর্জ্যের সঙ্গে ই-বর্জ্যও দেদার ফেলে দিচ্ছেন। এর মধ্যে এমন কিছু জিনিস থাকছে, যা অন্য বর্জ্যের সঙ্গে মিশে বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। সে কারণেই এগুলির পৃথকীকরণ জরুরি। পুরসভা ঠিক করেছে, আপাতত শহরের ১০টি ওয়ার্ডে এই পরিষেবা চালু করা হবে। ধাপে-ধাপে সব ওয়ার্ডেই চালু হবে এই পরিষেবা। পুরসভা এই উদ্যোগের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রচার করবে। কেন বর্জ্য পৃথকীকরণ জরুরি, প্রচারে তুলে ধরা হবে সেই কথা। কাউন্সিলারদেরও সামিল করা হবে প্রচারে। বছরখানেক আগে ই-বর্জ্য সংগ্রহের জন্য শহরের প্রতিটি বরোয় ড্রপ বক্স বসানো হয়েছিল। তবে, যে ভাবে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে শুধু বরোর মধ্যেই বর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে না পুরসভা। এক পুরকর্তা বক্তব্য, 'দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে ই-বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ার নিরিখে কলকাতা প্রথম সারিতেই রয়েছে। তাই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা খুবই জরুরি। সে কারণেই এই উদ্যোগ।' ই-বর্জ্য নিয়ে সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে এই রকমের বর্জ্য দিয়ে ইকো পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে নানা রকমের মূর্তি তৈরিতে কাজে লাগানো হচ্ছে ফেলে দেওয়া ই-বর্জ্য। কলকাতাতেও এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।' আর এক পরিবেশ বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'এই জাতীয় বর্জ্য মাটির সঙ্গে সহজে মেশে না। জলে মিশে জলকেও বিষাক্ত করে তোলে। এতে অনেকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ায় ইলেকট্রনিক সরঞ্জামে থাকা তামা আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হয়। যা ক্ষতি করে ফুসফুসের।' তাই এই বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা খুবই জরুরি, এমনটাই দাবি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের।
from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/oPrj67S
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment