জামাইষষ্ঠীতে দাঁও মারতে ব্যান পিরিয়ডেও সমুদ্রে মাছ শিকার https://ift.tt/eABVZt8 - MAS News bengali

জামাইষষ্ঠীতে দাঁও মারতে ব্যান পিরিয়ডেও সমুদ্রে মাছ শিকার https://ift.tt/eABVZt8

এই সময়, দিঘা: আইন আছে। আবার মওকা পেলে তার ব্যতিক্রমও আছে। যেমনটা হয়েছে দিঘায়। বাজারে মাছের আকাল। তার ওপর আজ, বুধবার জামাইষষ্ঠী। রুই, কাতলা, চিংড়ি,পাবদার পাশাপাশি জামাইয়ের পাতে ইলিশ, পমফ্রেটও চাই বাঙালির। ১৫ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও শুনছে কে? শুধু মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নয়, বন্ধ রয়েছে দিঘা মোহনা, পেটুয়া শৌলা মৎস্যবন্দর ও মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। তবু ব্যান পিরিয়ডে লুকিয়ে চুরিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার লঞ্চ ও ভুটভুটিতে ধরে আনা পমফ্রেট, দু’একটা ইলিশ, ভোলা-সহ নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ তাঁরা দিঘার মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া এলাকার বিক্রিও করেছেন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে। শুধু দিঘার মেরিন ড্রাইভ নয়, শৌলা জুনপুট দাদনপাত্রবাড় লাগোয়া সৈকতেও এ দিন বিক্রি হয়েছে সামুদ্রিক মাছ। কয়েকজন এখনও সমুদ্র রয়েছেন। বুধবার সকালে তাঁরা মাছ নিয়ে ফিরলে ফের সৈকতে বিক্রি হবে বলে মৎস্যজীবী সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সৈকত লাগোয়া অস্থায়ী মাছ বাজারে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের পমফ্রেট বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কিলো দরে। ছোট টাটকা ভোলা মাছ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। অনেকে আবার স্টোরের পমফ্রেট, ইলিশ এনে টাটকা বলে চড়া দাম হেঁকেছেন। মৎস্যদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কথা স্বীকার করেছেন দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস। তিনি বলেন, ‘১৫ জুন পর্যন্ত ব্যান পিরিয়ড। সমুদ্রে মাছ ধরা বারণ। বেশিরভাগ মৎস্যজীবী যখন সমুদ্রযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন এক শ্রেণির মৎস্যজীবী নিজেদের ভালো না বুঝে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে ওই সব মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে বলেছি। বাজারে মাছের আকাল। তার উপর জামাইষষ্ঠী। বেশি দাম পাওয়ার লোভে লুকিয়ে অনেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন।’সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্যে ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ডের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মৎস্যদপ্তর। আগামী শনিবার সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এ ভাবে মাছ ধরার ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন কাঁথি মৎস্যদপ্তরের সহ মৎস্য অধিকর্তা ( সামুদ্রিক) নীলোৎপল কয়াল। তিনি বলেন, ‘মৎস্যজীবীরা নিজেদের ভালোটা বুঝতেই চাইছেন না। আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ ব্যান পিরিয়ডের মধ্যে এ ভাবে মাছ ধরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, এ বারই প্রথম নয়, প্রতি বছর প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ব্যান পিরিয়ডে মাছ ধরেন একশ্রেণির মৎস্যজীবী। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী প্রসাদ টুডু বলেন, ‘এখন সামুদ্রিক মাছের প্রজননের সময়। সেই কারণে মাছেদের বংশবৃদ্ধি ও মাছ বড় হওয়ার জন্য শুধু এই রাজ্য নয়, সারা দেশে সমুদ্রে মাছ শিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই কারণে এই নিয়ম।’


from Bengali News, বাংলা নিউজ, টি-২০ বিশ্বকাপ, Bangla News, Ajker Bangla Khabar - Eisamay https://ift.tt/nch6QPI
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads