পাঁচ মাসের মধ্যেই ভোটের পরীক্ষা! স্টার মার্কস পেতে মরিয়া লালবাজার https://ift.tt/gcwKAI3 - MAS News bengali

পাঁচ মাসের মধ্যেই ভোটের পরীক্ষা! স্টার মার্কস পেতে মরিয়া লালবাজার https://ift.tt/gcwKAI3

প্রশান্ত ঘোষ ও সোমনাথ মণ্ডলভোটের সময়ে বরাবরই অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। সে পঞ্চায়েত ভোট হোক, কিংবা লোকসভা। গুলি-বোমা-বারুদে ঝরেছে রক্ত। খুন হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অতীতের এই হিংসার ঘটনা থেকে ভাঙড়কে মুক্ত করতে কয়েকমাস আগে কলকাতা পুলিশের হাতে পুরো এলাকার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় সপ্তম দফার নির্বাচনে ভাঙড়ের ভোট পরীক্ষায় বসতে চলেছে লালবাজার। ভাঙড়ের একাংশ যাদবপুর এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত। ওই দুই কেন্দ্রের নির্বাচন রয়েছে আগামী ১ জুন। লালবাজারের কর্তারা ভালো ভাবেই জানেন, পার্ক স্ট্রিট, শ্যামবাজার, ভবানীপুর, কিংবা টালিগঞ্জের সঙ্গে ভাঙড়ের কোনও মিল নেই। সেখানে চওড়া রাস্তা অথবা ফ্ল্যাট বাড়ি কম। বরং রয়েছে, পাট খেত, বাঁশবাগান, পুকুর, বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সেখানে যেমন একটা ফ্যাক্টর, তেমনই আবার ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণেরও নানা স্তর রয়েছে। এই দ্বিমুখী চাপ সামলে কী ভাবে ভোট পর্ব উতরে দেওয়া যায়, সেই কাজের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে পুলিশ। কলকাতা পুরসভার প্রতিটি থানা এলাকার অলিগলি থেকে শুরু করে বড় রাস্তায় কোথায় জটলা হতে পারে, কোথায় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, তার রুটম্যাপ রয়েছে পুলিশের হাতে। কিন্তু, ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানকার মোট আটটি থানার মধ্যে বোদরা, মাধবপুর, হাতিশালা ও বিজয়গঞ্জ বাজার থানা খাতায়-কলমেই শুধু চালু হয়েছে। বিল্ডিং নেই। অন্যদিকে ভাঙড়, চন্দনেশ্বর, উত্তর কাশীপুর এবং পোলেরহাট থানায় পুলিশকর্মীরা বসেন। ফলে এলাকার ম্যাপ এখনও সে ভাবে ‘মুখস্ত’ হয়নি পুলিশের।ওই সব থানা এলাকার প্রধান রাস্তা এবং বুথের আশপাশে রাজনৈতিক দলের বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, প্রত্যন্ত এলাকায় গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সে কারণে, প্রতিটি থানা ধরে কোন কোন এলাকায় গোলমাল হতে পারে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এমনকী, ওই এলাকাগুলিতে বিশেষ ভাবে নজরদারিও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। থানার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোথাও গোলমালের আশঙ্কা থাকলে কারা গোলমাল পাকাতে পারেন তাঁর তালিকাও রেডি রাখতে হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এলাকার বিভিন্ন দলের ১০ জন রাজনৈতিক নেতা পুলিশের আতসকাঁচের তলায় রয়েছেন। তাঁদের গতিবিধিও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। ভাঙড়ের বিতর্কিত নেতা আরাবুল ইসলাম জেলে থাকায় তিনি অবশ্য এই নজরদারির বাইরে। ভোটের সময়ে বাইক বাহিনীর দাপটও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। সে কারণে লালবাজারও তাদের পুলিশ বাহিনী নামবে বলে সূত্রের খবর। গত বিধাসভা এবং পঞ্চায়েতে মুড়িমুড়কির মত বোমা ফেটেছে ভাঙড়ে। তবে লালবাজারের আশ্বাস, এ বার যে কোনও পরিস্থিতি কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে। সেজন্য আগে থেকেই দুষ্কৃতীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২০০ বেশি বোমাও।ভাঙড় ডিভিশনের দায়িত্বে রয়েছেন সৈকত ঘোষ। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ওই সময়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। তাঁর পুরোনো অভিজ্ঞতাও ভোটের কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। তবে এবারের ভোটে পুলিশের কৌশল নিয়ে ডিসি (ভাঙড়) সৈকত ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।


from Bengali News, বাংলা নিউজ, Bangla News, Bengali Khabar, Ajker Bangla Khabar, Latest Bengali News - Eisamay https://ift.tt/BXmzp9K
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads