মায়ের কল পরীক্ষার্থীকে, ধরে ফেললেন পরিদর্শক! https://ift.tt/UzvY5wt - MAS News bengali

মায়ের কল পরীক্ষার্থীকে, ধরে ফেললেন পরিদর্শক! https://ift.tt/UzvY5wt

এই সময়: কলকাতা ও মালদা: মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু কি ইনভিজিলেটরদের উদ্যোগে স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল উদ্ধার হচ্ছে? এক কথায় উত্তর, না। কারণ, পরীক্ষার্থীদের নিজেদের ভুলেই বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ফোন। সেটা কী রকম? সূত্রের খবর, মালদার একাধিক স্কুলে পরীক্ষার সময়ে আচমকাই পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা মোবাইল বাজতে শুরু করে। যেমন- মঙ্গলবার এক ছাত্রীর মা ফোনে মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘তুই ভালো ভাবে ঢুকতে পেরেছিস তো?’ ছাত্রী উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ।’ এরপর পিছন ফিরেই সে দেখতে পায় ইনভিজিলেটর দাঁড়িয়ে। এটা কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা না হলেও মালদা থেকে এ রকমই নানা ঘটনার রিপোর্ট এসেছে নিবেদিতা ভবনে। যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন পরীক্ষার কাজে দীর্ঘদিন যুক্ত আধিকারিকরা। মানিকচক থানার গোপালপুর অঞ্চলের বালুটোলা গ্রাম থেকে গৃহশিক্ষক জীবন দাসকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ দাবি করেছে, ইংরেজি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন পাচারে তিনিই মূল চক্রী। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল থেকে ‘এমপি ২০২৪ কোশ্চেন আউট’ নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান মিলেছিল। তার মূল পাণ্ডা জীবনই। ওই গ্রুপের ১৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন অ্যাডমিন। ইংরেজি পরীক্ষার দিন এনায়েতপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে গোপালপুর হাইস্কুলের যে পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়েছিল, তাদের মধ্যেও একজন ওই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল। পর্ষদের খবর, প্রশ্ন লিক হচ্ছিল একটি স্কুল থেকে। কিন্তু সেটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল করার পাশাপাশি উত্তরও বিলি হচ্ছিল। ওই পরীক্ষার্থী ধরা পড়ার পরে পুলিশকে জানিয়েছে, মাধ্যমিক শুরুর দু’দিন আগে জীবন দাস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৈরি করেন। তাতে ওই পরীক্ষার্থীকেও অ্যাডমিন করা হয়। সেই পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল না নিয়ে গেলেও স্রেফ অ্যাডমিন হওয়ার কারণে তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে প্রচুর মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অনেকেরই আসল নাম সেখানে নেই। নম্বর ধরে ধরে আসল নামের খোঁজ চলছে। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে, তাতে জীবনই মূল পাণ্ডা। গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কোচিং সেন্টারও চালান। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর তৈরিতে তাঁর নিজস্ব টিমও রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাওয়ার পরে সেই টিমই উত্তর তৈরি করত। তারপর তা ছড়ানোর প্ল্যান ছিল। কিন্তু জীবন কী ভাবে প্রশ্নপত্র পেতেন? পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ‘হলে বসেই পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে আপলোড করত। সেটা ধরেই জীবনের টিম উত্তর তৈরি করত।’ তবে প্রশ্ন ও উত্তর বেশ কয়েকটা নম্বর থেকে আপলোড হওয়ায় জীবনের মতো আরও মাথা জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনাও তদন্তকারীরা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এদিন দক্ষিণ কলকাতা ও পূর্ব বর্ধমানের দুটি পরীক্ষার হল থেকে দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনেরই পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে। শিলিগুড়ির একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এদিন ভাঙচুর করা হয়।’ তাঁর সংযোজন, মালদায় চারটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশেই আগে চারজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।’


from Bengali News, Latest Bangla Sangbad, News in Bengali, বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/wedCPGp
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads