ভিখারি সেজে কোম্পানিতে 'গোয়েন্দাগিরি' নুরের https://ift.tt/jh5umIL - MAS News bengali

ভিখারি সেজে কোম্পানিতে 'গোয়েন্দাগিরি' নুরের https://ift.tt/jh5umIL

এই সময়: ভিখারি সেজে বিভিন্ন কোম্পানি, শিল্পপতির বাড়িতে গোয়েন্দাগিরির চেষ্টা করতেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে ধৃত নুর আমিন। জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার তথ্য পেলেই খবর দিতেন কেন্দ্রীয় সংস্থার ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের কাছে। এর পর ওই কোম্পানি বা শিল্পপতির বাড়িতে হানা দিতেন জিএসটি অফিসারেরা। তথ্যের বিনিময়ে এ ভাবেই লাখ লাখ টাকা 'সোর্স মানি' পেয়েছেন নুর। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এলেও নুর আমিনের গতিবিধি নিয়ে রহস্য কিছুতেই কাটছে না। গত একুশে জুলাইয়ের সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে গাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র সমেত গ্রেপ্তার হন নুর আমিন। তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে দাবি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে কোর্টে পেশ করা হলে নুরের আইনজীবী বলেন, 'মক্কেলকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।' কিন্তু জিএসটি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে নুরের এমন 'মেন্টাল ডিসঅর্ডারে'র বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে পুলিশ। উল্টে গোয়েন্দাদের মতো ভেক ধরে প্রায় দশ বছর ধরে নুর তাঁদের সাহায্য করে এসেছেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে ৭ জন জিএসটি অফিসারকে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় বিশ্বজিৎ রানা বলে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করছে কালীঘাট থানা। নুরকে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করতে সাহায্য করতেন কেশপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু'য়েক আগে ডানলপের কাছে একটি খইনি কোম্পানিতে ভিখারি সেজে পৌঁছে গিয়েছিলেন নুর আমিন। তার পর জিএসটি অফিসারদের ওই কোম্পানির বিষয়ে তথ্য তুলে দেন তিনি। তার বিনিময়ে 'সোর্স মানি' হিসাবে ১৮ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। এ ভাবেই নুরের মাধ্যমে আরও কয়েকটি নামি কোম্পানিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই তদন্তে নেমে মূলত জানতে চাইছে-- নুরের এমন রহস্যময় চরিত্রের নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য রয়েছে? আদৌ তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অভিনয় করছেন। কেন একুশে জুলাইয়ের দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন নুর, নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কি না? এ বিষয়ে নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছেন বলে পুলিশের দাবি। সম্প্রতি তাঁর আনন্দপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই সূত্রে নুরের জিএসটি যোগের বিষয়টি সামনে আসে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর পর তাঁকে জেরা করে সাত আইআরএস অফিসারের বিষয়ে জানা যায়। যাঁরা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই)-এর অধীনে কাজ করতেন। এখন কয়েকজন চেন্নাইয়ে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গেই নুর আমিন আবার পাঁচতারা হোটেলেও বৈঠক করতেন। কেন নুরকে তাঁরা এত গুরুত্ব দিতেন, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে এক অফিসারকে ২ বার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। গত একুশে জুলাই ধরা পড়ার পর নিজেকে আইবি অফিসার বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন নুর। এমনকী, এক সময়ে নিজেকে বিএসএফ-এর কর্তা বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পিস্তল, ছুরি, গাঁজা-কলকে সমেত আরও অনেক কিছু। তবে তাঁর স্ত্রী এবং আইনজীবীর দাবি, কলকাতায় একটি ডাক্তারখানায় নুরের মানসিক চিকিৎসা চলছে। যদিও পুলিশ তা মানতে চায়নি। বৃহস্পতিবার নুরকে আলিপুর কোর্টে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।


from Bengali News, বাংলা সংবাদ, আজকের বাংলা খবর, Live Bangla News, News in Bangla, Bengali News Today - Ei Samay https://ift.tt/UozF2ws
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads