ভাঁড়ে মা ভবানী! আর্থিক সংকটে জরুরি অবস্থা ঘোষণা শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের https://ift.tt/kJqAIHO - MAS News bengali

ভাঁড়ে মা ভবানী! আর্থিক সংকটে জরুরি অবস্থা ঘোষণা শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের https://ift.tt/kJqAIHO

Sri Lanka-তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। দেশজুড়ে চলা চরম আর্থিক মন্দা এবং উত্তরোত্তর বেড়ে চলা জনরোষকে স্তিমিত করতে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে অনুমান। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় সংকটকাল চলছে। এই অবস্থায় এমারজেন্সির ঘোষণা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল। আইনভঙ্গকারীদের শাস্তি প্রাপ্য বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছিলই। তারই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। প্রায় ৫ হাজার মানুষ শহরের রাস্তায় নেমে আসেন। সটান প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান তাঁরা। অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। যদিও পরে এই ঘটনার জন্য চরমপন্থীদেরই দায়ী করেন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, ইদানীংকালে সবথেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। আর্থিক সঙ্কট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এ নিয়ে খোদ বিশ্বব্যাংকও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জ্বালানি থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য, কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধিও আকাশ ছুঁয়েছে। এই অবস্থায় যাঁরা পারছেন, দেশ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে বাঁচছেন! বৃহস্পতিবার জানা যায়, দেশের কোথাও ডিজেস পাওয়া যাচ্ছে না! এই খবরে মাথায় হাত পড়ে যায় আমজনতার। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা দেশের যান চলাচল। টানা প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হয় দেশের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষকে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়। বন্ধ হয়ে যায় আগে থেকে স্থির করে রাখা অস্ত্রোপচার। এমনকী, বহু জীবনদায়ী ওষুধও হাসপাতালগুলিতে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে আমজনতার। এরপরই রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় সপ্তাহে মাত্র একদিন গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হচ্ছে। টাকা দিয়ে সিলিন্ডার কেনার জন্যও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাহকদের! এই বিষয়ে কথা উঠতেই বাণী বলেন,"প্রত্যেক রবিবার করে গ্যাস দেওয়া হয়। যাঁদের সিলিন্ডার ফাঁকা হয়ে যায়, তাঁরা সেই ফাঁকা সিলিন্ডার নিয়ে এলাকার একটি মাত্র দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। সেই লাইন শুরু হয় ভোর চারটে থেকে!" তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে যে অর্থ সঙ্কটের মধ্যে দিয় যাচ্ছে, তা কাটিয়ে ওঠা দুষ্কর।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/EVLRIhG
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads