শিশুর মাথায় ভাতের হাঁড়ি! কেটে বের করল দমকল https://ift.tt/3oWkUle - MAS News bengali

শিশুর মাথায় ভাতের হাঁড়ি! কেটে বের করল দমকল https://ift.tt/3oWkUle

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দাদার সঙ্গে খেলতে খেলত কখন যে ছোট্ট স্টিলের হাঁড়ি ঢুকে গিয়েছে ১১ মাসের শিশুর মাথায় বুঝতেই পারেননি পরিবারের কেউ। বছর দশেকের দাদাও বোঝেনি, ভাইয়ের মাথায় হাঁড়ি ঢুকে গেলে কী বিপদ হতে পারে। পরে যখ আর মাথা থেকে টেনে সেটা বের করা যাচ্ছে না তখন সে মাকে ডাকে। তারপর হুলস্থুল বনগাঁর কালোপুর বিশ্বাসপাড়ায়। ১১ মাসের দেবরাজ সরকার এখনও হাঁটতে পারে না। হামা দিয়েই চলে। তার মাথায় ঢুকে গিয়েছে একটি ছোট্ট স্টিলের হাঁড়ি। সে হাঁড়ির মুখের বেধ এতই কম যে টেনে বের করা যায় না শিশুর মাথা। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে দমকলকর্মীরা কেটে বের করলেন অক্ষত শিশুকে। যে হাতে আগুন সামলান দমকল কর্মীরা, হয়তো লোহার ভারী দরজা কেটে উদ্ধার করেন, প্রাণ বাঁচান মানুষের, সেই হাতেই আজ ছোট্ট একটা হাঁড়ি কেটে বের করলেন এক শিশুকে। সফল অভিযানের পর স্বস্তির হাসি দমকল কর্মীদের মুখে। মঙ্গলবার সকালে কালোপুর বিশ্বাসপাড়ায় নিজের বাড়িতে কাজ করছিলেন অনিতা সরকার। দুই ছেলে ছিল ঘরে। হঠাৎই শোনেন বড় ছেলে বলছে, ভাইয়ের মাথায় আটকে গিয়েছে হাঁড়ি। প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ভেবেছিলেন নিজেরাই টেনে বের করে নিতে পারবেন। কিন্তু পারেননি। বেশ খানিকক্ষণ চেষ্টার পর প্রতিবেশীদের পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে যান ছোট ছেলেকে। সেখানকার চিকিৎসকেরাও প্রথমে নিজেরা চেষ্টা করেন। কিন্তু মোটা পাতের শক্ত স্টিলের হাঁড়ি টেনে বের করতে পারেননি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাঁড়িটির ভিতর শিশুটির মাথা এমন ভাবে আটকে ছিল যাতে এর শ্বাস প্রশ্বাসে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। তবে অন্ধকারে বেশ ভয় পেয়েছিল সে। চিকিৎসকেরা সফল না হওয়ায় বনগাঁ হাসপাতাল থেকেই খবর দেওয়া হয় বনগাঁ দমকল কেন্দ্রে। সেখান থেকে কর্মীরা আসেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে দমকল কর্মীরাই লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে ধীরে ধীরে কেটে ফেলেন হাঁড়িটি। হাঁড়ির পেটের কাছে নিপুণ হাতে একটি চৌকো ফুটো করেন তাঁরা। তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীর হাঁড়ির গলার কাছ থেকে লম্বালম্বি চিড়ে দেন। বেরিয়ে আসে অক্ষত শিশুটি। গোটা কাজটি করতে সময় লাগে প্রায় ঘণ্টা খানেক। বনগাঁ দমকল কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শম্ভু কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের কাছে হাসপাতাল থেকে ফোন যায়। আমরা দেরি করিনি। শুনে যেটুকু বুঝেছিলাম সেই অনুযায়ী যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে আসি। তারপর চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। অক্ষত ও সুস্থ শিশুটিকে মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা নিশ্চিন্ত।’ দীর্ঘক্ষণের যুদ্ধে খানিকটা কাহিল হয়ে পড়েছিল শিশুটি। মায়ের কোলে সেই শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেখা যায় প্রবীণ আধিকারিক শম্ভু কুণ্ডুকে।


from Bengali News: বাংলা সংবাদ, বাংলার আজকের খবর, Latest Bangla News, Breaking Bengali News, Latest Bengali News | Eisamay https://ift.tt/3l3xWvT
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads