বাঘের পায়ের ছাপ, আতঙ্ক কুলতলির গ্রামে https://ift.tt/3o48Yyq - MAS News bengali

বাঘের পায়ের ছাপ, আতঙ্ক কুলতলির গ্রামে https://ift.tt/3o48Yyq

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দরবনের () লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক। সোমবার সন্ধে থেকে কার্যত ঘরবন্দি কুলতলির বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত অবশ্য বাঘের হদিশ করতে পারেননি বন দফতরের আধিকারিকেরা। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি ব্লকের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুন্দরবনের আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ নদী সাঁতরে ঢুকে পড়েছে কুলতলির গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাতলা গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে এলাকার বাসিন্দারা বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান বলে দাবি। পায়ের ছাপ দেখে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী বাঘ এলাকায় ঢুকেছে। মাতলা নদী লাগোয়া গ্রাম মনসাতলা। এখানকার অধিকাংশ মানুষই মৎস্যজীবী না হলে কৃষিজীবীl ফলে রাত নামার মুখে গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ার চূড়ান্ত আতঙ্কে রাত কাটিয়েছেন বাসিন্দারা। সারারাত এলাকা পাহারা দিয়েছেন মানুষ। যদিও বাঘের দেখা মেলেনি। গত রাতেই এলাকায় এসে পৌঁছেছিলেন রায়দিঘি রেঞ্জের বনকর্মীরা। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই তাঁরা রাতভর গ্রাম লাগোয়া নদী বাঁধ বরাবর পাহারা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাতে লাঠি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল বন দফতরের তরফে আনা বাজি পটকা। সা্রারাত পটকার শব্দে বাঘ যাতে অন্ধকারে লোকালয়ে হানা দিতে না পারে। মঙ্গলবার সকালেও বাঘের অবস্থান জানা যায়নি। বন দফতরের কর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, নদীতে জোয়ার রয়েছে বলেও ঠিকঠাক তল্লাশি চালান যাচ্ছে না। ভাটা পড়লে আবারও তল্লাশি শুরু হবে বাঘিনীরা খোঁজে। সে জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে এলাকায় বাঘ ঢোকায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঘটিকে ধরে নিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দিক বন দফতরl নভেম্বর মাসেই সুন্দরবনে জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর। গত ৩ নভেম্বর মাতলা নদীতে বোটেভাঙা দ্বীপ এলাকায় বাঘের হানায় মৃত্যু হয় শ্রীনিবাস মণ্ডল (৫২) নামে এক মৎ্স্যজীবীর। তিনি মৈপীঠ কোস্টাল থানা এলাকার কিশোরীমোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর দুই সঙ্গী তাঁকে বাঘের থাবা থেকে উদ্ধার করলেও কুলতলির ঘাটে পৌঁছতে পৌঁছতে মৃত্যু হয় শ্রীনিবাসের। এর পর গত ১৮ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কাঁকড়া ধরতে বেণিফেলি কালীর জঙ্গল গিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের লখাই নস্কর। সঙ্গে ছিলেন লক্ষ্মণ সরদার এবং সুজিত নস্কর। সে দিন সকালেই কালীর জঙ্গলে বাঘে ধরে লখাইকে। কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দুই সঙ্গী। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু বাঁচান যায়নি লখাইকে। কলকাতার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।


from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/3FYOoFN
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads