ঠাকুরঘরে ফুলের টান, সঙ্কট চলতে পারে দুর্গাপুজো পর্যন্ত! https://ift.tt/3xumEo0 - MAS News bengali

ঠাকুরঘরে ফুলের টান, সঙ্কট চলতে পারে দুর্গাপুজো পর্যন্ত! https://ift.tt/3xumEo0

এই সময়: নিত্যপুজোর আজ হয়তো পেয়েছেন গৃহদেবতা। কিন্তু আগামী দিনেও কি তাঁকে ফুল দেওয়া যাবে? গৃহস্থর বাড়িতে নিত্যপুজোয় ব্যবহারের জন্য বেল, অপরাজিতা, দোপাটি, গাঁদার মতো ফুলের চাহিদা প্রায় প্রতিদিনের। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে নিত্য ব্যবহার্য এই সব ফুলের উৎপাদন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফুলচাষিরা আশঙ্কা করছেন, এই ধরনের ফুলের সঙ্কট থাকবে দুর্গাপুজো পর্যন্ত। কোমর সমান জল কিছুটা নেমেছে। তবে তাতে খুশি নন গৌরীশঙ্কর ঘাটি। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সম্পন্ন ফুলচাষির বিরাট খেত জুড়ে এখন হাঁটু জল। দিন কয়েকের মধ্যে ওই জল সম্ভবত পুরোপুরি নেমে যাবে। কিন্তু তার পর গোটা খেতে পড়ে থাকবে সারি সারি পচে যাওয়া গাছ। তাই, নিছক জল নামার ঘটনায় আশাপ্রদ তেমন কিছু দেখছেন না তিনি। জুলাইয়ের শেষ দিকে নিম্নচাপের বৃষ্টি ভাসিয়ে দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দাসপুর ব্লক, নদিয়া জেলা, হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও বাগনান এবং উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর এলাকার সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার হেক্টর ফুলচাষের জমিকে। করোনার কারণে লোকাল ট্রেন এখনও বন্ধ। কোনও রকমে ছোট ট্রাক বা মিনি ট্রাকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়ার কাছে মল্লিকঘাট ফুল বাজারে ফুল পাঠিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কয়েক হাজার ফুল ব্যবসায়ী। কিন্তু তাতেও সঙ্কট নেমেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। মল্লিকঘাট ফুল বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গিরি বলছেন, 'লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার ফুলচাষিরা মিলে গাড়ি ভাড়া করে মল্লিকঘাটে ফুল আনা শুরু করেন। দিনে গড়ে ৬০টার মতো মিনি ট্রাক এখানে আসে। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের নিম্নচাপের বৃষ্টির পর ফুলের খেতের যা অবস্থা, তাতে এ বার ৩০টা করে গাড়িও আসবে কি না সন্দেহ।' সারা বাংলা ফুলচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েকের বক্তব্য, 'বছরের এই সময়টায় প্রধানত গাঁদা, দোপাটি, রজনীগন্ধা ও অপরাজিতা ফুলের চাষ হয়। এই সব ফুলের গাছ খুবই নরম ধরনের। রোদ ওঠার পর খেতের জল সরে গেলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সব ফুলের গাছ মরে যাবে।' পূর্ব মেদিনীপুরের ফুলচাষি গৌরীশঙ্কর ঘাটির কথায়, 'জল নামলে আগে পুরো জমি পরিষ্কার করাতে হবে। তার পর বীজ ছড়িয়ে একেবারে নতুন ভাবে গাছ তৈরি করতে হবে। সব মিলিয়ে অন্তত দু'-আড়াই মাসের ধাক্কা।' ফুলচাষিদের আশঙ্কা, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দুর্গাপুজোতেও। কারণ, দুর্গাপুজোয় 'ঝুরো ফুল' হিসেবে ব্যবহৃত গাঁদা, দোপাটি, রজনীগন্ধা, অপরাজিতা ফুলের চাহিদা বেশি থাকে বলে ওই ফুলের গাছ বসানোর কাজও এই সময়ে শুরু হয়। কিন্তু সেই চাষই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।


from Bengali News: বাংলা সংবাদ, বাংলার আজকের খবর, Latest Bangla News, Breaking Bengali News, Latest Bengali News | Eisamay https://ift.tt/3AsMKd0
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads