পেগাসাস ইস্যুতে অস্বস্তিতে বিজেপি! তদন্ত চান নীতীশ কুমারও https://ift.tt/3lqGWwo - MAS News bengali

পেগাসাস ইস্যুতে অস্বস্তিতে বিজেপি! তদন্ত চান নীতীশ কুমারও https://ift.tt/3lqGWwo

এই সময়: ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ঘিরে এত দিন সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব ছিল তৃণমূল, কংগ্রেস, বামেদের মতো বিরোধীরা। এ বার তাদের সঙ্গ সুর মিলিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন জোটসঙ্গী নীতীশ কুমার। সোমবার (Pegasus) মামলার তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেডি(ইউ) প্রধান বলেন, 'আমি অবশ্যই পুরো বিষয়টির তদন্ত চাই। মানুষকে বিব্রত এবং হয়রান করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ (আড়ি পাতা) অনুচিত। পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসা উচিত।' এই প্রথম বিজেপির কোনও জোটসঙ্গী পেগাসাস নিয়ে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সুর মেলানোয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নেতা, মন্ত্রী, শিল্পপতি, বিচারপতি, সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে নীতীশের এই অবস্থানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই পেগ্যাসাস-তদন্তের দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে এই শুনানি হবে। এদিন পেগ্যাসাস-বিতর্কে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগরতলায় এদিন তিনি বলেন, 'আমার ফোন তিন বছর ধরে হ্যাক করা হয়েছে। সবার ফোন হ্যাক করতে কেন্দ্র প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এই টাকা কার টাকা?' তাঁর সংযোজন, 'এই ইস্যু নিয়ে আমরা সংসদেও সরব হয়েছি। কেন্দ্রের বক্তব্য দাবি করেছি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউই বিতর্কের মুখোমুখি হতে চাইছেন না।' এই পরিস্থিতিতে এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, 'অনেক দিন ধরে এই ফোনে আড়ি পাতার কথা শুনছি। বিষয়টি সংসদেও তোলা হয়েছে, রোজই সংবাদমাধ্যমে নতুন নতুন রিপোর্ট আসছে...তাই এটা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই প্রয়োজন ও খতিয়ে দেখা উচিত। পুরো বিষয়টা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত।' নীতীশ হঠাৎ কেন বিরোধীদের সুরে পেগাসাস ইস্যুতে কথা বলছেন, তা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা শোনা যাচ্ছে। কারও মতে, এটা কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দেওয়া। আবার কারও মতে, সম্প্রতি কেন্দ্রের সঙ্গে জেডিইউ-এর দূরত্ব বেড়েছে, তারই ফল এটি। জেডিইউ-এর একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় থেকেই বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নীতীশ দু'জনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদী তা না-মেনে একজনকে মন্ত্রী করেছেন। যিনি মন্ত্রী হয়েছেন, সেই রামচন্দ্র আবার নীতীশের দলের হলেও বিজেপি-ঘেঁষা বলে পরিচিত। এর পাশাপাশি খারিজ হয়েছে নীতীশের তোলা কেন্দ্রে দু'টি প্রতিমন্ত্রীর পদের দাবিও। ফলে সব মিলিয়ে নীতীশ যথেষ্টই বিরক্ত। সম্প্রতি আবার নীতীশ-শাসিত বিহারকে সংসদে 'সব থেকে বেশি পিছিয়ে পড়া' রাজ্যের তকমা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, নীতীশ তাতে ক্ষুব্ধ। এর বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা ও প্রচার শুরু করেছে আরজেডি-ও। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সবক'টি কারণই রয়েছে নীতীশের পেগ্যাসাস-বিতর্কে সরব হওয়ার নেপথ্যে। তবে পেগাসাস নিয়ে শুধু সংসদেই বাদানুবাদ চলছে না, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েও চারটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা করেছেন সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার। বাকি দু'টি মামলাকারী সিপিএমের সাংসদ জন ব্রিটাস ও আইনজীবী এম এল শর্মা। আর একটি মামলা করেছেন একযোগে পাঁচ সাংবাদিক- পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, এনএনএম আবদি, প্রেমশঙ্কর ঝা, রূপেশকুমার সিং এবং ইপ্সা শতাক্ষী। এই মামলাগুলিতে বলা হয়েছে, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে যে, তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার কিনে দেশের মানুষের উপর নজরদারি করছে কি না। মামলাগুলির শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3ik1CE7
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads