যা করবেন লুকিয়ে করুন,নয়তো ঘেঁটে দেবে: মমতা https://ift.tt/3vLxZA5 - MAS News bengali

যা করবেন লুকিয়ে করুন,নয়তো ঘেঁটে দেবে: মমতা https://ift.tt/3vLxZA5

এই সময়: ইয়াস দুর্গত এলাকায় পুনর্গঠনের কাজেও বাড়তি সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। কারও নাম না করেই তিনি ইঙ্গিত দেন, রাজ্যের উন্নয়নে বাধা আসতে পারে নানা মহল থেকে। বুধবার নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বায়োডাইভারসিটি অফ ম্যানগ্রোভ নিয়ে অনেকে টাকা দিতে রাজি রয়েছে।' এ কথা শুনেই মুখ্যসচিবের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'এ সব নিয়ে এখনই কিছু বলার দরকার নেই। যা করবে লুকিয়ে লুকিয়ে করো। কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। আমি চাই কাজটা হোক। তা না হলে কিছু লোক আমাদের কাজটা কেঁচিয়ে দিতে পারে। কেউ কেউ ঘেঁটে দিতে চায়।' এদিনের বৈঠকে ইয়াস ও জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে চার হাজার কিলোমিটার মাটির বাঁধ রয়েছে। পাকা বাঁধের পরিমাণ মাত্র ৩৬০ কিলোমিটার। মাটির বাঁধকে পাকা করতে ১০ হাজার কোটি টাকা দরকার। কিন্তু এই টাকা একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে এই কাজ করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সুন্দরবন ও অন্যান্য এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনসৃজন বা ভেটিভার ঘাসের মাধ্যমে বাঁধের আয়ু ও শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গ্রিন এনভায়রনমেন্টাল প্রজেক্ট নামে একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা দরকার। এ ছাড়াও সুন্দরবনের উন্নয়ন, সাগর সেতু ও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উপরেও গুরুত্ব দেন তিনি। তাঁর কথায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অর্থ সংস্থানে সফট লোন পাওয়া যায় কি না দেখা হচ্ছে। বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, মাটির বাঁধকে পাকা বাঁধে রূপান্তর করতে দশ হাজার কোটি টাকা দরকার। বিভিন্ন সূত্র থেকে এই টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব শুনেই আজ, বৃহস্পতিবার বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি প্রস্তাবাকারে পেশ করার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, বণিকসভাগুলি এক একটি বাঁধের দায়িত্ব নিতে পারে। দিঘা সৈকত সংলগ্ন রাস্তা ও পর্যটকদের বসার জায়গাগুলি পুনর্গঠনের পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেচ সচিব প্রভাত মিশ্রকে। আর সামগ্রিক ভাবে দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বাকি কাজে নজর রাখবেন খোদ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এ দিনের বৈঠকে সেচ দপ্তরের এক চিফ ইঞ্জিনিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'উম্পুনের পর আপনি আইআইটি খড়্গপুর, চেন্নাই এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি গড়েছিলেন নদী বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধে। সম্প্রতি তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ভাঙন প্রতিরোধে মাটির বাঁধকে পাকা বাঁধ করতে হবে। তা না করা গেলে মাটির বাঁধকে একটা নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত করতে হবে। কমিটি ১৫০ কিলোমিটার বাঁধকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে। সেখানে পাকা বাঁধ করা ছাড়া উপায় নেই।' মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য শুনে জানিয়ে দেন, 'উম্পুনের পরই পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে। এই গাছ লাগাতে সাড়ে ছয় কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন মাটির বাঁধ রক্ষায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দিঘায় ৫ কোটি করে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হবে। ভেটিভার ঘাসও লাগানো হবে।' আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে হুগলি ও হাওড়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে সেচের কাজের জন্য নিম্ন দামোদর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানান মমতা। সেচ দপ্তরকে তাঁর কড়া নির্দেশ, 'বাঁধ পুনর্নির্মাণের সময় এমন কাজ করুন যাতে দশ বছর আয়ুষ্কাল হয়।' ১১ ও ২৬ জুন ভরা কোটালের আগেই যেখানে বাঁধের ভাঙন সংস্কারের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3pkg8h1
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads