পথ জুড়ে তারুণ্য, মঞ্চে পক্ককেশ https://ift.tt/3sF2w0b - MAS News bengali

পথ জুড়ে তারুণ্য, মঞ্চে পক্ককেশ https://ift.tt/3sF2w0b

এই সময়: নবীনরা বামেদের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে, এই অপবাদ থেকে অনেকটাই মুখ রক্ষা করল একুশের ব্রিগেড। সংযুক্ত মোর্চার ডাকা রবিবাসরীয় ব্রিগেড সভায় সিপিএমের তরুণ প্রজন্মের জোয়ার দেখা গেল কলকাতার রাজপথে। 'টুম্পা সোনা'র প্যারোডির সঙ্গে রাস্তায় কোমর দোলানো থেকে জয়রাজ ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় স্ট্রিট পারফরম্যান্স বা গলা ছেড়ে 'পথে এবার নামো সাথী' গান- ছাত্র-যুব সমর্থকদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই তরুণ দলের মধ্যে এমন বহু উৎসাহী শহুরে মুখ চোখে পড়েছে, যাঁদের আগে ব্রিগেডমুখী হতে খুব একটা দেখা যায়নি। সভাস্থল মাতিয়ে রাখলেও বক্তার তালিকায় অবশ্য সে ভাবে ঠাঁই পাননি কোনও যুব নেতা। মঞ্চ দখল করে বসে থাকলেন সেই পক্ককেশধারী প্রবীণ বাম নেতারাই। ব্রিগেডের মঞ্চে একমাত্র তরুণ মুখ বলতে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। তা দেখে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, পৃথিবী বদলালেও বামেরা আছে বামেতেই। বাম নেতৃত্বের অবশ্য যুক্তি, বক্তার তালিকায় না-থাকলেও ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধরের মতো তরুণ নেত্রীদের সভা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের তৈরি করা হচ্ছে। চুল না-পাকলে নেতা হওয়া যায় না, বামেদের বিরুদ্ধে এই অপবাদ বহু দিনের। তা থেকে বেরিয়ে আসতে বাম দলগুলি যে এত দিন আত্মশুদ্ধির চেষ্টা একেবারে করেনি, তাও নয়। সম্প্রতি রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে ব্রিগেডের সভা ভরানোর আহ্বান জানিয়ে 'টুম্পা সোনা' গানের প্যারোডি টুইট করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র নিজেই। সেই গান এখন সুপারহিট। রবিবারও শহরের নানা জায়গায় ব্রিগেডমুখী ছাত্র-যুবদের দলীয় পতাকা কাঁধে, মাথায় লাল ফেট্টি বেঁধে ওই প্যারোডির তালে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তরুণ-তরুণী। মঞ্চের সামনের সারিতে বসে 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' স্লোগান দেওয়া হোক কিংবা ভিড় সামলানোর দায়িত্ব- সর্বত্রই দেখা গিয়েছে উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি। কিন্তু কোনও তরুণ নেতাকে ভাষণ দিতে না-দেওয়ায় বাম সমর্থকদের অনেককে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। এদিন সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, নরেন চট্টোপাধ্যায়ের মতো পুরোনো বাম নেতাদের জন্য অনেকটা সময় বরাদ্দ করা হলেও তাঁদের ভাষণে খুব একটা ঝাঁজ ছিল না। ফলে তাঁরা যখন বক্তব্য রাখছিলেন, সমর্থকদের মধ্যে তেমন উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। অনেকেই মনে করছেন, তাঁদের এতটা সময় না-দিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের জনপ্রিয় মুখ ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধরের মতো নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারত। সিপিএমের যুব নেতা শতরূপ ঘোষ যদিও বলেছেন, 'সে অর্থে বক্তা হিসাবে না-হলেও ঐশী ঘোষরা মঞ্চে ছিলেন। বক্তা না-হলেও ওদের কথা তো মানুষ শুনল। সেটাও বা কম কী!' সুবক্তা হিসেবে টিভি চ্যানেলে নিয়মিত ডাক পেলেও ব্রিগেডে বক্তাদের তালিকায় নাম ছিল না বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীরও। সুজন নিজে অবশ্য এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। তিনি বলছেন, 'প্রবীণ-নবীনের সমন্বয় করেই আমাদের দল চলে। এত দিন কথা হতো, মাঠে নাকি নবীন নেই। আজ মাঠে প্রচুর নবীন এসেছে। আজ তো সভাও পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন তরুণরা। বক্তাদের সঙ্গে যাঁরা পরিচয় করে দিয়েছেন, তাঁরা সবাই তরুণ প্রজন্ম। তাঁদের তৈরি করতে হয়। তাঁদের গড়ে তোলার জন্য আমরা শুধু মনস্থির করেছি তাই নয়, সেটাই সময়ের চাহিদাও বটে।' এদিন ব্রিগেডে এসেছিলেন বাম সমর্থক, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি বলেন, 'সিপিএম দলে সবাই মঞ্চে জায়গা পায় না। তার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আজ মঞ্চে একজনও অভিনেত্রীকে দেখতে পেয়েছেন কি? আমি কেন মঞ্চে উঠব? আমার তো সেই যোগ্যতা নেই। তবে আজ ব্রিগেড সভায় অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে দেখে খুব ভালো লাগল।' প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীরাও এসেছিলেন ব্রিগেডে। তাঁরাও মঞ্চে ওঠেননি। অভিনেতা বাদশা মৈত্র অবশ্য আগাগোড়াই মঞ্চে ছিলেন, সঞ্চালক হিসেবে। এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2NEhQM1
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads