পরীক্ষা বন্ধ, হাসপাতালে ইন্টার্ন থাকবে না দু'মাস https://ift.tt/3b0cH9U - MAS News bengali

পরীক্ষা বন্ধ, হাসপাতালে ইন্টার্ন থাকবে না দু'মাস https://ift.tt/3b0cH9U

অনির্বাণ ঘোষ ইন্টার্নের অভাবে নজিরবিহীন সঙ্কটের মুখোমুখি হতে চলেছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলি। মে মাসের আগে সেই সঙ্কট মেটার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সব মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, সোমবার। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় বরাবরের মতো পরবর্তী ব্যাচের ইন্টার্নশিপ শুরু হচ্ছে না। কেন? ২০২১-এর এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাই শেষ হয়নি এখনও। ফলে এখনই তৈরি হচ্ছে না নতুন ইন্টার্ন। পরীক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্ট বেরোতে বেরোতে ফুরিয়ে যাবে এপ্রিল। তার পরেই নতুন ব্যাচের ইন্টার্নরা যোগ দেবেন কাজে। কোভিডের জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আগামী দু' মাস বেনজির ভাবে ইন্টার্নশূন্য থাকছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি। অর্থাৎ, ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে হাসপাতালগুলির ইন্ডোর বিভাগ। এর ফলে হাসপাতালের ইন্ডোর পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন হাসপাতাল কর্তারা। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, 'ভর্তি হওয়া রোগীর অসুখের বিবরণ নেওয়া (হিস্ট্রি টেকিং) থেকে শুরু করে রোগীর ইন্ট্রাভেনাস চ্যানেল করা, সিনিয়র ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কিছু দেখভাল করা, ২৪ ঘণ্টা রোগীর অবস্থার খোঁজ রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ ইন্ডোর ওয়ার্ডে ইন্টার্নরাই সামাল দেন।' উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্কট মেটাতে গিয়ে ঘাটতি পূরণে কিছু হাউসস্টাফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দপ্তর নিলেও তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয় বলেই আশঙ্কা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। এমবিবিএস কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা পাশ করার পর প্রতিটি নব্য চিকিৎসককে এক বছরের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিতে হয় নিজস্ব কলেজের হাসপাতালে। ডাক্তারি করার রেজিস্ট্রেশন মেলার আগে বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে চলা এই বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ পর্বই হল কম্পালসরি রোটেশনাল ইন্টার্নশিপ। প্রতি বছর সাধারণত ফাইনাল পরীক্ষা মেটে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এবং রেজাল্ট বেরোনোর পর পাশ করে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা ২ মার্চ থেকে এক বছরের ইন্টার্নশিপ শুরু করেন। সেইমতো ২০২০ ব্যাচের ২৬০০ এমবিবিএস উত্তীর্ণ গত বছর ২ মার্চ ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন। যার মেয়াদ ফুরোচ্ছে আজ, ১ মার্চ। কিন্তু কোভিডের কারণে বেশ কয়েক মাস ক্লাস না-হওয়ায় ২০২১ ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষাই শেষ হয়নি এখনও। ফলে আগামী দু' মাস রাজ্যের পুরোনো ১৮টি কলেজে কোনও ইন্টার্ন থাকছেন না। অন্যান্য রাজ্যে সময়ে ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। জেলার একটি মেডিক্যাল কলেজের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যক্ষের কথায়, 'এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়বে গত এক দশকে তৈরি হওয়া মেডিক্যাল কলেজগুলি। কেননা, পুরোনো কলেজগুলির মতো সেখানে স্নাতকোত্তর পড়ুয়া (পিজিটি) নেই। তুলনায় কলকাতার কলেজগুলি এবং বহু পুরোনো কলেজেগুলির সমস্যা তাই কম।' রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন স্বাস্থ্য-শিক্ষা শাখার কর্তারা জানাচ্ছেন, মার্চ ও এপ্রিলে যে সঙ্কট তৈরি হবে, তাতে সন্দেহ নেই। সে জন্যই কয়েক দিন আগে সব কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন মেয়াদ শেষ করা ইন্টার্নদেরই হাউসস্টাফ হিসেবে নিয়োগ করেন। পাশাপাশি, করোনাকালে সব মেডিক্যাল কলেজে ২০-৩০ জন করে হাউসস্টাফ নিয়োগের জন্য যে পদ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সুযোগেরও সদ্ব্যবহার করতে বলা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিকে। আশা, এতে কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে পরিস্থিতি। যদিও বিভিন্ন কলেজ কর্তারা জানাচ্ছেন, এই ভাবে হাউসস্টাফ নিয়োগের রাস্তায় হেঁটে বাস্তবে সঙ্কট মিটবে না। জেলার একটি মেডিক্যাল কলেজের এক কর্তা বলেন, 'ইন্টার্নশিপের মতো বাধ্যতামূলক নয় হাউসস্টাফশিপ। তাই নবীন চিকিৎসকরা হাউসস্টাফশিপে আগ্রহ দেখান না। বরং তাঁরা স্নাতকোত্তর প্রবেশিকার প্রস্তুতিতে বেশি মন দেন। তাও কলকাতার কলেজগুলি কিছু হাউসস্টাফ পায়। কিন্তু জেলার কলেজগুলিতে সাধারণত হাউসস্টাফ পদে নব্য চিকিৎসকরা যোগই দিতে চান না।' এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3r485F3
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads