একটি বার চড়তে দিন না! বন্দের যাত্রাপথে বেনজির উৎসাহ মানুষের https://ift.tt/HfVNwme - MAS News bengali

একটি বার চড়তে দিন না! বন্দের যাত্রাপথে বেনজির উৎসাহ মানুষের https://ift.tt/HfVNwme

পার্থসারথি সেনগুপ্ত কোথাও ট্রেনের গায়ে আঁকা হলো স্বস্তিকা। কোথাও ঢোল, কাঁসি, পুষ্পবৃষ্টিতে জানানো হলো স্বাগত। কোথাও বা ট্র্যাকে নেমে সেলফিতে মাতলেন উৎসাহী জমতা। শুক্রবার বঙ্গে বন্দে ভারতের () চাকা গড়ানোর দিনে রাজ্যের নানা অংশে দেখা গেল এমনই দৃশ্য। সাড়ে সাত ঘন্টায় পৌঁছবে 'সেমি হাই স্পিড' এই ট্রেন। এ দিন সকালে শুধু হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে সরকারি 'প্রোটোকল' আর নিরাপত্তার ব্যূহ ছেড়ে ট্রেনটি বেরোনোর অপেক্ষা। তারপরই এরোডায়নামিক মডেলের ট্রেনটিকে এক ঝলক দেখার জন্য মানুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। লাইনের আশপাশে তো বটেই, আশপাশে বাড়ির ছাদেও কাতারে কাতারে মানুষ। যাত্রীদের উৎসাহের জেরে নির্দিষ্ট স্টেশন অর্থাৎ বোলপুর, মালদা ও বারসইয়ের বাইরেও ডানকুনিতে ট্রেন থামল এ দিন। শুক্রবার বেলা তখন ১২টা। কর্ড লাইনে এসে ডানকুনিতে ট্রেনটি থামতেই ঢোল, কাঁসি, করতাল, পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানালেন আগত মানুষ। ট্রেনের চালক ও যাত্রীদের হাতে গোলাপ ফুল দিলেন। এর মধ্যেই হাজির হন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। প্ল্যাটফর্মে ভিড় সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় আরপিএফ, জিআরপিের কর্মীদের। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ১৫ মিনিট ডানকুনিতে দাঁড়ায় ট্রেনটি। সাড়ে ১২টা নাগাদ পৌঁছয় কামারকুণ্ডু স্টেশনে। কামারকুন্ডু স্টেশন মুড়ে ফেলা হয় বিজেপির পতাকায়। এখানেও প্ল্যাটফর্মে হাজির ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। এখানে অবশ্য ২ মিনিট দাঁড়ায় নতুন ট্রেন। ১২টা ৩২মিনিটে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় বন্দে ভারত। খানিক বাদে পৌঁছয় শক্তিগড় স্টেশনে। সেখানে অনেকেই আবদার জোড়েন - একটি বার ট্রেনের ভিতরে উঠতে দিন। ট্রেন ঘিরে মোবাইলে ছবি, সেলফি তোলার ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় রেল পুলিশ, জিআরপিকে। এরপরে ট্রেন ঢোকে বর্ধমান স্টেশনে। তার আগে লাইডস্পিকারে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন জুড়ে উল্লাস। বহু পুলিশকর্মীও ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ১টা ২৮ মিনিটে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই কিছু মহিলা লাইনে নেমে ট্রেনের সামনে এঁকে দেন 'স্বস্তিকা' ও 'ওম'। ছোড়েন ফুল। গাড়ির চালকদের কপালে পরানো হয় টিকা। আসলে এমন ট্রেন দেখার সুযোগ বিশেষ হয়নি এর আগে। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানের এলাহি আয়োজনও কৌতুহল জাগিয়েছিল মানুষের মনে। প্রথম দিন আমন্ত্রিত ছিল বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। তাদের বক্তব্য, 'এ তো অনেকটা প্লেনের মতো।' প্রবীণ সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন, 'আমরা ছোটবেলায় ট্রেনে চড়ে জানলা দিয়ে মাথা বের করে দেখতাম। খানিক পরে গা ঢেকে যেত কয়লার গুঁড়োয়। এখন চড়ছি সেমি বুলেট ট্রেনে। উত্তেজনায় গায়ে কাঁটা দেয়!' কর্তারা জানাচ্ছেন, আধুনিকতার সব সম্ভার রয়েছে বন্দে ভারতে! ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে ট্রেনটির সময় লাগে ১৪০ সেকেন্ড। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা। জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সঙ্গে ক্রু-দের সরাসরি কথা বলার সুবিধা ও ইর্মাজেন্সি অ্যার্লাম বাটনও আছে। আসনও আরামদায়ক। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে নির্মিত ট্রেনটি তৈরি করতে খরচ প্রায় এক কোটি টাকা, যা একই ধরনের ট্রেন আমদানির খরচের অর্ধেক বলে এঁদের দাবি। এ দিন উদ্বোধনে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল দেখার মতো। হাওড়ার ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এ দিনে ট্রেনটি ছাড়ে সাড়ে আটটার সামান্য আগে। যাত্রা শুরু করে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে।


from Bengali News Eisamay: (বাংলা সংবাদ) Latest News, Vieos, Breaking News in Bangla | Ajker Khobor - Eisamay Bangla https://ift.tt/vaXzqfm
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads