Bangla News
Bengali News
News in Bengali
কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay
বাংলা নিউজ
বাংলা সংবাদ
from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/31fwQpK
'ডর' ছবির মতোই আমাকে ফলো করছে ও: অরুণিমা https://ift.tt/3o4YlM0

২০১৯ থেকে একটি লোক আমাকে ইনস্টাগ্রামে আজেবাজে মেসেজ পাঠাত। যেখানেই যেতাম, ফলো করত। শুধু আমাকে নয়, আমার বন্ধুবান্ধব, ভাইবোন, পরিবারের লোকজনকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করত। তখনও আমাকে হুমকি দিতে শুরু করেনি। ওই প্রেম নিবেদন গোছের কথাবার্তা বলত। যে মুহূর্তে বিষয়টি অসহনীয় হয়ে উঠল, তখন আমি সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলাম। সে সময় ভুয়ো নাম ব্যবহার করেই ওই কাজগুলো ঘটাত সে। ছেলেটার নাম আসলে মুকেশ সাউ। সেটা অবশ্য পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে। মৈনাক নাম ব্যবহার করে ওই কাণ্ডগুলি ঘটাত। প্রায় ৩২টি অ্যাকাউন্ট বানিয়েছিল শুধুমাত্র আমাকে স্টক করবে বলে। একটা হ্যান্ডেল ব্লক করলে, অন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মেসেজ করত। মনে আছে, সেইবার লোকটা ১১ দিন জেলে ছিল। যেদিন ছাড়া পেল, সেদিন আমার বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আমারই গাড়িটাতে হাত বোলাতে শুরু করল! কী করছে, কেন করছে কিছুই বোঝা যেত না। আমাকে পাড়ার লোকজন বিষয়টি জানায়। আবার গড়িয়াহাট থানায় ফোন করলাম আমি। আবারও গ্রেফতার করে নিয়ে গেল পুলিশ। এরপর কিছুদিন জেলে রইল। তারপর বেরিয়ে কিছুটা সময় ঠিকই ছিল। তারপর আবার যে কে সেই। এবারে শুরু হলো প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া। আমার মোবাইল নম্বারটা পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল! কোথা থেকে পেয়েছিল তা জানি না। কমপক্ষে ১০০টি নম্বর থেকে নিজে আমাকে ফোন করেছে। পরবর্তীতে আমার নম্বার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছে। যাঁদের কাছে আমার নম্বর দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কিছু জন আমার ফ্যান ছিলেন। তাঁরাই বিষয়টা আমাকে জানান। এছাড়া প্রাণে মেরে ফেলা বা অ্যাসিড ছুঁড়ে মারার হুমকি দিয়েছে। আরও কত কী নোংরা কথাই না বলেছে। যেসব কথা আমাকে শুনতে হয়েছে, সেগুলোকে শুধু নোংরা বললে 'আন্ডার স্টেটমেন্ট' হয়। গত বছর এই সময়টায় আবারও বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয়। ফলে আবারও থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আবারও গ্রেফতার করা হল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের 'ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান'। এ বছর কালীপুজোর সময় থেকে আমাকে উত্যক্ত করতে শুরু করল। আমি আমার পরিবার, ছোট ভাই-বোন সকলকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে। এরা তো 'সাইকোলজিক্যাল পেশেন্ট'! কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে এমন করা সম্ভব নয়। রবিবার রাতে আবারও আমার বাড়ির সামনে এসে অশ্লীল কথাবার্তা বলছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার পুলিশে অভিযোগ জানালাম। আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কতটা লাভ হবে জানি না। আরও একবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাব। নিজের সমস্ত অভিযোগ জানাব। প্রমাণ দেখাব। আমার মতে, এইসব মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করানো উচিত। অনেক ফ্যানই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন। তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন। কিন্তু, 'দিস ইজ টু মাচ'! এই যন্ত্রণা সহ্য করা যায় না। মুকেশ সাউয়ের মতো মানসিক রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজন। বারবার গ্রেফতার করে কী লাভ হচ্ছে? এরা তো জামিনও পেয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন জেলে কাটানোর পরেও বিবেক দংশন হচ্ছে না। তাহলে স্বাভাবিক বলা যায় নাকি! আমার জায়গায় অন্য কোন মেয়ে হলে কী হত? এরকম লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবেই না কী ভাবে? এরা তো বেশি ভাবে না। রাস্তায় কোন মেয়েকে একলা পেয়ে যদি কোন কাণ্ড ঘটায়, তাহলে মেয়েটার তো ক্ষতি হবে। তারপর শাস্তি হল কি না, সেটা বড় কথা নয়। একটা মেয়ের ক্ষতি হয়ে গেল। তার জীবন নষ্ট হওয়াটা বড়। আমি ভয়ে রাস্তায় বেরোতে পারি না। সবসময় গাড়িতে যাতায়াত করি। কিন্তু, রাস্তায় ফুচকা খেতে যাওয়ার আগেও পাঁচবার ভাবতে হয়, সেটা পারব কিনা। নিরাপদ কিনা। তবে আমার বাড়িতে 'সিকিউরিটি স্ট্রং'। তাও ঢুকে পড়ছে। এসব লোক সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। ছোটবেলার 'ডর' দেখেছিলাম। ছবিটা ভালো লেগেছিল। হেসেছিলাম। ভেবেছিলাম, 'যাহ, এরকম হয় নাকি!' কিন্তু, আজ বুঝতে পারছি সত্যিই এই ধরণের জিনিস হয়। আমার কাছে সেই চিত্রনাট্যই বাস্তব। সত্যিই ভয় লাগছে। আতঙ্ক লাগছে। নিজের জন্য পরিবারের জন্য আমাকে দু'-চার কথা কেউ বলতেই পারে। সেটা না হয় গায়ে মাখলাম না। কিন্তু, আমার বাবা-মাকে খারাপ কথা বলছে! আমার বোনেদের থ্রেট দিচ্ছে। এটা কাঁহাতক মেনে নেওয়া যায়? সেই কারণে আবারও আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। নিজের সব কথা কাল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবো দেখা যাক কি হয়।
from Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা নিউজ, News in Bengali, কলকাতা বাংলা খবর - Ei Samay https://ift.tt/31fwQpK
Previous article
Next article
Leave Comments
Post a Comment