পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলায় NIA-র চার্জশিট 'মনগড়া', দাবি পাকিস্তানের https://ift.tt/3b29Awh - MAS News bengali

পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলায় NIA-র চার্জশিট 'মনগড়া', দাবি পাকিস্তানের https://ift.tt/3b29Awh

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার দেড় বছর পর মঙ্গলবার (২৫ অগস্ট) বিশেষ আদালতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ যে চার্জশিট দিয়েছে, তা 'মনগড়া' বলে খারিজ করল পাকিস্তান। এনআইএ'র চার্জশিটের প্রেক্ষিতে পাক বিদেশমন্ত্রক বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের নাম জুড়ে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা হয়েছে ওই চার্জশিটে। পাক বিদেশমন্ত্রকের কথা অনুযায়ী, এনআইএ'র মনগড়া চার্জশিটে আসলে বিজেপির পাকিস্তান বিরোধী বক্তব্যই পরিকল্পিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানের আরও অভিযোগ, চার্জশিটের নামে বিজেপির সংকীর্ণ ঘোরায় রাজনীতির স্বার্থ মাথায় রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, পুলওয়ামা হামলায় ইসলামাবাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু, নয়াদিল্লি বিশ্বাসযোগ্য কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি, যার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা যায়। এই চার্জশিটকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলায় মঙ্গলবার (২৫ অগস্ট) ১৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৩,৮০০ পাতার চার্জশিট দাখিল করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, সিআরপিএফের কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। যার জেরে সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান শহিদ হন। জখম হন আরও আট সিআরপিএফ। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফের ওই কনভয়টি জম্মু থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে পুলওয়ামার লেথপুরায় আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছিল আদিল আহমেদ ডর। তদন্তে সামনে আসে, আদিল ছিল জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি। আরও পড়ুন: চার্জশিটে বলা হয়, পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা হয়েছিল পাকিস্তানে বসে। হামলার প্রশিক্ষণ নিতে জইশ জঙ্গিদের পাঠানো হয়েছিল আফগানিস্তানে। পুলওয়ামা হামলার মূল অভিযুক্ত মাসুদ আজহারের ভাইপো মহম্মদ উমর ফারুক আফগানিস্তানে গিয়েছিল ২০১৬-১৭ সালে। সেখানে জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানে ফেরে। পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার মূলচক্রী ছিল এই ফারুক। পরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মাসুদ আজহারের এই ভাইপো নিহত হয়। আরও পড়ুন: এনআইএ'র তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলওয়ামার পর আরও একটি হামলার পরিকল্পনা ছিল জইশের। কিন্তু, ভারতীয় বায়ুসেনার বালাকোট হামালার জেরে তা ভণ্ডুল হয়ে যায়। কারণ, মূলচক্রী মহম্মদ উমর ফারুক ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যাঘাতে নিহত হয়। এ ছাড়া পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়েছিল। এনআইএ'র চার্জশিটে সামনে আসে মাসুদ আজহারের ভাইপোর অ্যাকাউন্টে এই হামলা সংগঠিত করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা জমা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয় ২০০ কেজির বিস্ফোরক-সহ আইইডি তৈরি করতে এবং হামলার জন্য একটি মারুতি ইকো কিনতে। এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। ।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/31wpKen
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads