নিউ ইয়র্কে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর তদন্তে 'গ্র্যান্ড জুরি' গঠন https://ift.tt/3i72CJh - MAS News bengali

নিউ ইয়র্কে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর তদন্তে 'গ্র্যান্ড জুরি' গঠন https://ift.tt/3i72CJh

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন নাগরিক ড্যানিয়েল প্রুডের মৃত্যুর তদন্তে গ্র্যান্ড জুরি গঠনের কথা ঘোষণা করলেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল। গত মার্চে নিউ ইয়র্কে মৃত্যু হয় এই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। রচেস্টার পুলিশের বিরুদ্ধে ড্যানিয়েলকে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি প্রেস মিট করে ড্যানিয়েল প্রুডের উপর পুলিশি অত্যাচার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেন ওই কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের পরিবারের সদস্যরা। ভিডিয়োয় দেখা যায়, ফাঁসির আসামির মতো তাঁর মুখে কাপড়ের কভার পরিয়ে, ফুটপাথে ঠেসে ধরে বর্বর পুলিশ। তার জেরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে জ্ঞান হারান। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ড্যানিয়েল প্রুডের। কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর প্রতিবাদে যাঁরা শনিবার রাতে বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেমেছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস এদনি বলেন, প্রুডের পরিবার এবং রচেস্টারের মানুষ এই ঘটনায় চরম বেদনা ও যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, ড্যানিয়েলের মৃত্যুর 'সম্পূর্ণ তদন্ত'র অংশ হবে গ্র্যান্ড জুরি। তিনি গ্র্যান্ড জুরি গঠনের কথা ঘোষণ করেন। এই নিয়ে চার দিন হয়ে গেল নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ চলছে। শহরে বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা অ্যাশলে গ্যান্ট বলেন, এটা তো সবে শুরু। আমরা ঘটনার পিছনে সত্যিটা জানতে চাই। সেইসঙ্গে দোষীদের বিচার চাই। গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক মিনিট। মুখে ঢাকা পরিয়ে, সেই অবস্থায় ফুটপাথে মুখ ঠুসে, শ্বাসরুদ্ধ করে মারার অভিযোগ উঠেছে নিউ ইয়র্কের ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে। ভিডিয়ো ফুটেজ বলছে দু-মিনিট রাস্তায় মুখ ঠেসে ধরেছিল রচেস্টার পুলিশ। যার জেরে শ্বাসরুদ্ধে হয়ে মারা যান ওই কালো মানুষটি। তাঁর অপরাধ রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে ছুটছিলেন। এই 'অসভ্যতামি'র সবক শেখাতে ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ প্রাণেই মেরে ফেলে। এটা কোনও অভিযোগ নয়। কৃষ্ণাঙ্গ 'খুন'-এর গোটা ঘটনা ভিডিয়োয় ধরা রয়েছে। যা ঘটেছে পশ্চিম নিউ ইয়র্ক শহরে। কেনোশা শহরে আর এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জ্যাকব ব্লেককে পুলিশের গুলি করার ঘটনায় যখন উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে আমেরিকায়, কেনোশার গণ্ডি পেরিয়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নতুন করে যখন দানা বাঁধছে, ঠিক সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুলিশের আরও এক বর্বরতার ছবি সামনে আসে। ঘটনার পাঁচ মাস পর পুলিশের এই নির্মম অত্যাচারের ভিডিয়োটি জনসমক্ষে আনে ড্যানিয়েল প্রুডের পরিবার। আরও পড়ুন: ৩০ মার্চ লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার পর মারা যান ড্যানিয়েল প্রুড। ঘটনাটি ঘটেছিল তারও সাত দিন আগে, নিউ ইয়র্কের রচেস্টারে। ঘটনাস্থলেই তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তার পরের ক'টা দিন যন্ত্রই তাঁকে কৃত্রিম ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিল। ২ সেপ্টেম্বর ড্যানিয়েলের পরিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ভিডিয়োটি রিলিজ করার পর সকলের নজরে আসে। নগ্ন হয়ে রাস্তায় ছোটার অপরাধে ড্যানিয়েলের হাতে আগেই হাতকড়া পরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। সেই অবস্থায় পুলিশ তাঁকে কেন তাঁকে এমন ভাবে শ্বাসরোধ করে মারল, প্রশ্ন তোলেন ড্যানিয়েলের ভাই। সমাজের জন্য আর ক'জন ভাই মারা গেলে সকলে বুঝবে কৃষ্ণাঙ্গের উপর এই অত্যাচার বন্ধ হওয়া উচিত? প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও পড়ুন: ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ড্যানিয়েলের হাত পিছনে করে হাতকড়া পরিয়ে দীর্ঘ সময় ফুটপাথে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ড্যানিয়েল এর প্রতিবাদ করতেই এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সাদা ঢাকা পরিয়ে দেয়। এই করোনা সংকটে আটক ব্যক্তি যাতে থুতু না ছেটাতে পারে, তার জন্যই ওই ডিভাইস। এর পর সেটি পরা অবস্থায় মুখে দু-মিনিট ফুটপাথে চেপে ধরায় শ্বাস আটকে জ্ঞান হারান ড্যানিয়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হেফাজতে থাকা আর এক কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকেও গলায় হাঁটুর চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করেই মেরেছিল পুলিশ। যার প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন। বছর ৪৬-এর ওই ব্যক্তি ছিলেন নিরস্ত্র। মিনিয়াপোলিস শহরের একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্তা হাঁটু গেড়ে বসে তার গলার ওপর চাপ দেওয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই অগস্টের শেষ দিকে কেনোশা শহরে জ্যাকব ব্লেক পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়। তিনিও কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। তিন সন্তানের চোখের সামনে বিনা অপরাধে পুলিশ তাঁকে পরপর সাতটা গুলি করে। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলিতে তাঁর শিরদাঁড়া টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার হয়েছে। আছেন হাসপাতালেই। কিন্তু, মেরুদণ্ড সোজা করে আর দাঁড়াতে পারবেন না কেনোশার এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। তাঁর আইনজীবী জানিয়েই দিয়েছেন, জ্যাকব ব্লেক পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন। যদি ভবিষ্যতে আবার স্বাভাবিক হাঁটতে পারেন, সেটা হবে অঘটন! অত্যাচারের শেষ এখানেই নয়। অগস্টের শেষ সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও এক কৃষ্ণাঙ্গ। ডিজন কিজ্জি। পুলিশের দাবি, বছর ২৯-এর ওই ব্যক্তির কাছে বন্দুক ছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় তাঁর হাত থেকে বন্দুকটি পড়ে যায়। কিন্তু, পুলিশ যে সাফাই দিক, প্রশ্ন উঠেছে দেশে কারাগার বলে একটা বস্তু আছে। বিচার ব্যবস্থা আছে। সেখানে পুলিশ নিজেই কেন এক একজনকে প্রাণে মেরে দিচ্ছে? শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ বলেই?


from International News in Bengali, আন্তর্জাতিক News, World News Headlines in Bangla https://ift.tt/32YWLzy
Previous article
Next article

Leave Comments

Post a Comment

ads

Articles Ads 1

ads

Advertisement Ads